❒যশোরে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময়ে এসপি প্রলয়

‘সন্ত্রাসী ও মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে’

এখন সময়: শনিবার, ২৭ জুলাই , ২০২৪, ০৬:৩৮:৪৭ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেছেন, একজন এসপি হিসেবে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করছি। আইনের দৃষ্টিতে সব নাগরিক সমান। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে দেখি। কোনো রাজনৈতিক নেতা বা জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে পুলিশের কোনো অভিযান চলছে না। এমনকি কোনো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেও নয়। কোনো অপরাধীর সাথে কোনো প্রকার সমঝোতা নেই পুলিশের। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অপরাধ দমনে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে যশোরে শুরু হওয়া পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ অভিযানে গত চারদিনে এখন পর্যন্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ ২৫৩ জনকে আটক ও চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এসব ঘটনায় দায়ের হয়েছে ১০৩টি মামলা।

সম্প্রতি হঠাৎ করেই যশোরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। গত দেড় মাসে ঘটে ১২টি হত্যাকাণ্ড। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। ১৪ ফেব্রুয়ারি অভিযানের প্রথমদিনেই আটক হন পৌর কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন এবং যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা শীর্ষ সন্ত্রাসী মেহবুব রহমান ম্যানসেল।

রোববার সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে নিয়মিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

এক প্রশ্নে প্রলয় কুমার জোয়ারদার জানান, পুলিশের বিশেষ অভিযান কী কারণে হচ্ছে তা আপনারা জানেন। প্রতিদিন কিছু হলেই চাকুর ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে মানুষ মারা যাচ্ছে। পুলিশ জানেÑ এই চাকুর ব্যবহার যারা করছে; তারা কারা। কাদের শেল্টারে থেকে মারপিট করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসা ও চোরাচালান যারা করে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। অপরাধ কীভাবে ও কারা ঘটাচ্ছে তা পুলিশ জানে। সব সময় সকলের বিরুদ্ধে অ্যাকশানে যাওয়া হয় না। কিন্তু অপরাধ কীভাবে ও কারা করাচ্ছে এটা পুলিশ অবগত।

তিনি বলেন, নির্বাচন পরবর্তীকালে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। নীরবে চাঁদাবাজি হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক নেতা বা জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অভিযান না। সন্ত্রাসী ও মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন সবার জন্য সমান। কোনো নিরাপরাধ মানুষের বাড়িতে পুলিশ যায়নি। জনপ্রতিনিধি অন্যায় করলে ছাড় পাবে এটা কোনো আইনে লেখা নেই। অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এই অভিযান অব্যহত থাকবে। শুন্য সহিষ্ণু নীতির মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও দৈনিক স্পন্দনের মফস্বল সম্পাদক মনোতোষ বসু, সাধারণ সম্পাদক ও খবরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি এইচআর তুহিন, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি ইন্দ্রজিৎ রায়, বণিক বার্তার জেলা প্রতিনিধি আব্দুল কাদের, ফটো সাংবাদিক রতন সরকার প্রমুখ।