নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী তানিয়া সুলতানাকে (২৮) নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার গভীররাতে শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। তিনি ওই এলাকার সাবিত হোসেনের স্ত্রী। তানিয়া যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার স্বামী কনস্টেবল সাবিত নড়াইল সদর থানায় কর্মরত। ভুক্তভোগীর দাবি, পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় এর আগেও তাকে একাধিকবার নির্যাতন করা হয়েছে। স্বজনরা সাবিতের বিরুদ্ধে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
যশোর সদর উপজেলার ভেকুটিয়া গ্রামের হাশেম আলী মন্ডলের মেয়ে তানিয়া খাতুন জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ২ জুন বারান্দী মোল্যাপাড়ার মৃত মাসুক হোসেনের ছেলে সাবিত হাসানের সাথে ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে তার বিয়ে হয়। এটা তাদের দুই জনের দ্বিতীয় বিয়ে ছিলো।
তানিয়া জানান, বিয়ের কয়েক মাস পার হতেই সাবিত অন্য নারীদের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তিনি প্রতিবাদ করায় তার ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু হয়। সাবিত হোসেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় কর্মরত থাকাকালীন তাকে নির্যাতনে জখম করে। এই ঘটনায় তার (তানিয়া) ভাগ্নি সাথী আক্তার কনস্টেবল সাবিত হোসেনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
তানিয়া সুলতানা আরও জানান, সোমবার রাত ৯ টার দিকে সাবিত হোসেন বর্তমান কর্মস্থল নড়াইল থেকে হঠাৎ করে বাড়িতে আসেন। কিছু সময় পর কোন কারণ ছাড়াই আকস্মিকভাবে তাকে মারধর শুরু করে। এরপর রাত ১২ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পিতার বাড়ির লোকজন খবর শুনে মঙ্গলবার সকালে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তানিয়া সুলতানা জানান, কর্মস্থল থেকে হুটহাট করে বাড়ি আসেন সাবিত। কিভাবে তিনি এত ঘন ঘন ছুটি পান এটা তার বোধগম্য না।
হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসকেরা জানান, আহত তানিয়ার সুলতানার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখমের চিহ্ন রয়েছে। মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে তার চিকিৎসাসেবা চলছে।
তানিয়ার সুলতানার ভাগ্নি সাথী আক্তার জানান, সাবিত হাসান পরনারীতে আসক্ত। তিনি কোনো কারণ ছাড়াই তার খালা তানিয়ার ওপর নির্যাতন করে। সাবিতের অপকর্ম সহ্য করতে না পেরে প্রথম স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন। এখন দ্বিতীয় স্ত্রীর ওপর একইভাবে নির্যাতন করছেন। এই ঘটনায় তারা মামলা করবেন।
এই বিষয়ে পুলিশ কনস্টেবল সাবিতের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ‘কি আর বলবো ভাই’ অফিসে ডাক পড়েছে বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবো।