মোংলা প্রতিনিধি : দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে ওএমএস’র চাল বিতরণে অনিয়ম হওয়ায় মোংলা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানকে শোকজ করা হয়েছে। তিনি চাল বিতরণ কার্যক্রমের ‘ট্যাগ অফিসার’ ছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে শোকজ করলেও পাঁচ দিনেও জবাব দেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না জানান, সোমবারও শাহিনুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশের (শোকজ) জবাবের ব্যাপারে বলা হয়েছে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, খোলাবাজারে সরকারি ওএমএসের চাল আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার রাজিব মৃধার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। মোংলা থানায় এ ঘটনায় মামলা করবেন মোংলা সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) আশরাফুল হক। তিনি বলেন, সোমবার মামলা দায়েরের জন্য থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু এজাহারে কিছু সংশোধনের দরকার হওয়ায় ওইদিন মামলা করা যায়নি। সংশোধন করে মামলা করা হবে।
গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামে সুবিধাভোগী অসহায় ব্যক্তিদের জন্য বরাদ্দ চালের ৩০ কেজির বস্তায় চার কেজি করে কম দেয়া হচ্ছিলো। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্না। তিনি ওজনে কম দেয়া ১৫/২০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেন। ডিলার রাজিব মৃধা তখন পালিয়ে যান। এ সময় ওই এলাকায় চাল বিতরণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘ট্যাগ অফিসার’ মোংলা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
খোলাবাজারে ওএমএস চাল বিতরণে ওজনে কম দেয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ডিলার রাজিব মৃধার বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের মামলা করার সুপারিশ করে উপজেলা প্রশাসন। একই সাথে দায়িত্বে পালনে অবহেলার কারণে মোংলা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানকে শোকজ করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানের বক্তব্য জানতে একাধিকবার তার মোবাইল ফোন নাম্বারে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তার অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।