রাজয় রাব্বি, অভয়নগর (যশোর) : ১৬ বছর ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে তালগাছ লাগিয়ে প্রশংসা কুড়ানো যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের চিত্তরঞ্জন দাসকে ঘর সংস্কারের জন্য টিন ও নগদ টাকা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি পেয়েছেন বয়স্ক ভাতার কার্ড।
২০০৮ সাল থেকে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌর এলাকা ও মণিরামপুর উপজেলার ৪২টি ছোট-বড় সড়কের দুই পাশে প্রায় তিন লাখ (দুই লাখ ৮৮ হাজার) তালের বীজ রোপণ করেছেন তিনি। এ ছাড়া ৫৬ হাজার খেজুর গাছের বীজও রোপণ করেছেন।
তালগাছপ্রেমী চিত্তরঞ্জন দাসের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর তাকে সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ। গত ১৭ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে চিত্তরঞ্জন দাসের হাতে বয়স্ক ভাতার কার্ড তুলে দেন।
এবার সেই চিত্তরঞ্জন দাসের বাড়িতে গিয়ে তিন বান (২৪টি) ৯ ফুটের টিনসহ ঘর সংস্কার বাবদ নগদ ৯ হাজার টাকা তুলে দেন নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল দাস, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জাহিদ মাসুদ তাজ ও ইউএনও অফিসের সিএ সিধু বিশ্বাস।
নতুন টিন ও নগদ অর্থ পাওয়ার পর চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, সংবাদ প্রকাশ করার পর থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি। প্রথমে বয়স্ক ভাতার কার্ড পেয়েছি। এবার ঘর সংস্কারের জন্য তিন বান নতুন টিন ও নগদ টাকা পেয়েছি। পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। আজ আমার পরিবারের সকলে আনন্দিত এবং খুশি হয়েছে। এজন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম আবু নওশাদ বলেন, তালগাছপ্রেমী চিত্তরঞ্জন দাসকে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধোপাদী গ্রামে চিত্তরঞ্জনের বাড়িতে গিয়ে তার বসতঘর সংস্কারের জন্য তিন বান নতুন টিন ও নগদ ৯ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও তার পাশে থাকবে উপজেলা প্রশাসন।