Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

আষাঢ়ের ৬ দিনের মাথায় যশোরে স্বস্তির বৃষ্টি

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি , ২০২৫, ০১:৫১:৪৭ পিএম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বৃহস্পতিবার যশোরে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। আষাঢ়ের প্রথমদিন তো বৃষ্টি হয়নি। এভাবে কেটে যায় ৫দিন। ষষ্ঠ দিনের মাথায় এসে এই বৃষ্টিতে ফিরে আসে শান্তির পরশ। এদিন দুপুর পৌনে ১ টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। কখনো হালকা আবার কখনো মাঝারি বৃষ্টি চলে প্রায় সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত। যশোর বিমান বন্দর আবহাওয়া অফিস জানায়, ১১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

১১ মিলিমিটারের বৃষ্টিতে শহরের বেশকিছু সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পথ চলতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন সাধারণ মানুষ। তবে এরপরও সবার চোখেমুখে ছিলো স্বস্তি। অনেকেই স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছেন।

আষাঢ় শুরু হওয়ার পর থেকে বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিলো মানুষ। মাঝে দু’একদিন ছিটে ফোটা বৃষ্টি হলেও কাক্সিক্ষত বৃষ্টির প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। সর্বশেষ গত বুধবার সকাল থেকেই মেঘ ও রোদের লুকোচুরি খেলা চলছিল। এ কারণে যশোরের কোথাও কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হলেও সেটা কোন কাজে আসেনি। এতে মানুষের অস্বস্তি আরো বেড়ে যায়। অবশেষে এই তীব্র গরমে ঝরেছে স্বস্তির বৃষ্টি। তবে স্বস্তির এই বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছে বাইরে থাকা মানুষজন।

যশোর শহরের ফুটপাতের কয়েকজন দোকানদারের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, বৃষ্টিতে সাময়িক একটু ভোগান্তিতে পড়েছি। তবে স্বস্তির বৃষ্টি ও হিমেল বাতাসে সকল ভোগান্তি ধুয়ে মুছে দিয়েছে। প্রায় দুই মাস ধরে প্রচণ্ড গরমে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। এই বৃষ্টিতে একটু শান্তি পাচ্ছি। সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা নয়, যেন কাদা পানির ডোবায় পরিণত হয়েছে যশোর শহরের অনেক সড়ক। আবার কোথাও কাদা পানির সঙ্গে আবর্জনায় ভরে গেছে। ছোট-বড় খানাখন্দে বেহাল দশায় পড়েছে শহরবাসী। সরেজমিন দেখা যায়, শহরের অন্তত ১৫টি সড়কে পানি জমে আছে। খড়কি এলাকার শাহ আবদুল করিম সড়ক, শহরের পিটিআই, নাজির শংকরপুর, খড়কি রূপকথা মোড় থেকে রেললাইন, বেজপাড়া চিরুনিকল, মিশনপাড়া, আবরপুর ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর, ষষ্ঠীতলাপাড়ার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এই তিন দিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এছাড়া সাগরে দমকা হাওয়ার সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)