Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒যশোরে যুবলীগ কর্মী আলী হত্যাকাণ্ড

মূল আসামি নবাব সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার,আদালতে স্বীকারোক্তি

এখন সময়: সোমবার, ২০ জানুয়ারি , ২০২৫, ০৮:৩০:০৭ এম

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর তেতুঁলতলা এলাকায় যুবলীগ কর্মী আলী হোসেন হত্যার মূল আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে নবাব হোসেনকে (৫৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২২ জুন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বধুহাটা গ্রামে তার খালাতো বোনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নবাব যশোর সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া এলাকার মৃত মফজেল বিশ্বাসের ছেলে। গত ৬ জুন দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে খুন হন ওই যুবলীগ কর্মী।

এদিকে, নবাব হোসেন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করেছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া।

যশোরের ডিবি পুলিশ রোববার দুপুরে এক প্রেসব্রিফিং এ জানিয়েছে, যুবলীগ কর্মী আলী হোসেন হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে। তারা নবাবের শ্বশুরবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ রাউন্ড গুলি ও দুটি বন্দুক উদ্ধার করে। কিন্তু নবাবের কোনো খোঁজ তখন পাওয়া যায়নি। পরে তার অবস্থান জানতে পেরে গত শনিবার সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নবাব জানিয়েছেন, আলী হোসেন প্রায়ই তাকে গালিগালাজ করতো। কারণে অকারনে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতো। সদর উপজেলা নির্বাচনের দিনও তার মাকে উদ্দেশ্য করে খারাপ কথা বলেছিল। এতে তিনি মারাত্মক ক্ষিপ্ত হন। যার কারণে আলী হোসেকে গুলি করে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

গত ৬ জুন রাতে উপশহর গ্রামীণ ব্যাংক অফিসের সামনে সদর উপজেলা নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জয়লাভ করায় একটি ভোজের আয়োজন করা হয়। সেখানে আলী হোসেন যান। নবাবও সেখানে যান। খাওয়া শেষে আলী হোসেন মোটরসাইকেলে করে এলাকার আরো দুইজন সাকিব ও নয়নকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। নবাব তখন ওই এলাকার রেন্ট-এ কার ব্যবসায়ী দীপক ওরফে সাগরকে বাড়ি পৌছে দেয়ার কথা বলেন। দীপক তার কথামতো অন্য একটি মোটরসাইকেল নিয়ে আলী হোসেনের মোটরসাইকেলের পিছু নেয়। পরে তেঁতুলতলা মোড়ে পৌঁছালে আলী হোসেনকে গুলি করেন নবাব। প্রথম গুলিটি শরীরে না লাগায় আলী হোসেন মোটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পাশের মেহগুনি বাগানের মধ্যে গিয়ে পড়ে যান। তার সাথে থাকা সাকিব ও নয়ন অন্য দিকে দৌড় দেয়। নবাব পিছু ধাওয়া করে মেহগুনি বাগানের মধ্যে দিয়ে আলী হোসেনকে পরপর পাঁচটি গুলি করে পালিয়ে যান।

পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আলী হোসেনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার আগেই আলী হোসেন মারা যান। আলী হোসেন হত্যার ঘটনায় নিহতের মা মঞ্জুয়ারা বেগম এলাকার ৬জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

মূল হত্যাকারী নবাবের ভাষ্য, এই ঘটনার সাথে তিনি নিজে জড়িত। তার সাথে থাকা দীপক তাকে রাতে মোটরসাইকেলে পৌছে দেয়ার জন্য যায়। আলী হোসেনকে হত্যা করা হবে এটা দীপক জানতো না।

ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আলী হোসেন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, নবাবের সহযোগী দীপকের একটি মাইক্রোবাস, দুইটি মোবাইলে ফোন ও অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)