Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

দামোদরপুর কারামতিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

এখন সময়: বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর , ২০২৪, ১০:১৮:৪৮ এম

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়নের দামোদরপুর কারামতিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির সহ-সুপারের পদে নিয়োগ পেলেও ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্বে ছিলেন। গত তিন বছর ধরে প্রতিষ্ঠান ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ করে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিন মাস আগে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকসহ দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের অবগত করে ভারপ্রাপ্ত সুপারের আবেদন গ্রহণ করেন সভাপতি। ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর থেকে তিনি আর প্রতিষ্ঠানটিতে আসেননি। কিন্তু বেতন তুলছেন।
জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব থাকা অবস্থায় মাদ্রাসার সুপার পদ, এবতেদায়ী প্রধান পদ ও ল্যাব এ্যাসিস্টেন্ট পদে নিয়োগ নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়াসহ সকল প্রকার কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। বাকি থাকে শুধু নিয়োগ বোর্ড। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না এসে ি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করলে সমালোচনার তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ও রাজনৈতিক বিরোধ দেখা নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
আর এতে সমালোচনার মুখে পড়েন মাদ্রাসার সভাপতি মতিয়ার রহমান। তিনি জানান, আমি দুই বার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। মাদ্রাসায় সহ-সুপার পদে নিয়োগ দেয়ার পর সুপার পদে আবেদন পড়েনি। ফলে সহ-সুপারকে আমি ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেয়ার সুপারিশ করি। তারই প্রেক্ষিতে তিনি গত তিন বছর মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করে। সভাপতি হিসেবে সুপারের কাছে প্রতিষ্ঠানের হিসাব চেয়েছি। কিন্তু তিনি কোনো হিসাব দেননি। এক কথায় প্রতিষ্ঠানের কোন কিছুই বুঝিয়ে দিয়ে যাননি।
বর্তমানে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপালন করছেন কৃষি শিক্ষা বিভাগ এর শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত সুপার) দেলোয়ার হোসেন জানান, প্রতিষ্ঠানের সুপার ল্যাব এ্যাসিস্টেন্ট পদে চাকুরি দেবার কথা বলে মাগুরা জেলার শালিকা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের সাংড়া গ্রামের আব্দুল কাদের নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ভারপ্রাপ্ত সুপার ফয়জুল ইসলাম ৫০ হাজার টাকা নেয়। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে মর্মে জানতে পারি। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ল্যাবের কাজ করার জন্য সরকার ৫৫ হাজার টাকা দেন। যা সম্পূর্ণটায় তিনি আত্মসাৎ করেছেন। মাদ্রাসার দুই কর্মচারির বেতন করার কথা বলে ৪৬ হাজার টাকা নেয়। মাদ্রাসার এনটিআরসি’র এক শিক্ষিকা প্রতিষ্ঠানের অজুখানা করার জন্য ২৫ হাজার টাকা দেন। সে টাকা গুলোও তিনি আত্মসাৎ করে। প্রতিষ্ঠান রিলেটেড যে কোন কাজ করার স্বার্থে তাকে টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ রয়েছে এই ভারপ্রাপ্ত সুপার ফয়জুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফয়জুল ইসলাম বর্তমানে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করছেন। কিন্তু দামোদরপুর কারামতিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহ-সুপার পদের বেতন তুলছেন। এছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর থেকে অদ্যবদি সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট কারও কাছে কোন হিসাব দেন নাই। তাকে ফোন কল করা হলে তিনি জানান, তিনি অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করছেন। একথা বলে তিনি ফোন কল কেটে দেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বরত অফিসার আব্দুল আলিম জানান, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)