Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒এবার ১ হাজার ২৫ বিঘা জমিতে উৎপাদন

আব্দুলপুরে ৩০ কোটি টাকার কপির চারা বিক্রির আশা

এখন সময়: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২৫, ১২:২৩:২৩ পিএম

বিল্লাল হোসেন : যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুরে গত মৌসুমে সাড়ে ৭শ’ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চারা উৎপাদন হয়েছিল। চলতি মৌসুমে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫ বিঘায়। অধিকাংশ চারা সুস্থ ও সবল রয়েছে। ফলে দামও বেশি পাওয়া যাবে। ফলে এবার মৌসুমে ৩০ কোটিরও বেশি টাকার চারা বিক্রির আশা করছেন চাষিরা। এক যুগ আগে থেকে আব্দুলপুরে বাণিজ্যিক ভাবে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চারার আবাদ চলছে। ফলে সবজি দুটির চারার গ্রাম হিসেবে পরিচিত পেয়েছে আব্দুলপুর। এই চারা উৎপাদন ক্রমশ বাড়ছে। অন্যদের সফলতা দেখে ভাগ্য বদলের আশায় নতুন নতুন চাষিরা চারা উৎপাদনে ঝুঁকছেন। পাশে বাগডাঙ্গা গ্রামের অনেক চাষিও নতুন করে চারা উৎপাদন শুরু করেছেন। আব্দুলপুর গ্রামের আজিম উদ্দিন জানান, তিনি ৬ বছর ধরে কপির চারা উৎপাদন করছেন। এবারও ১২ কাঠা জমিতে মোট ৮০টি তৈরি করে বাঁধাকপির বীজ বপন করেছেন। প্রতি বেডে চারা উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে আনুমানিক খরচ ১ হাজার টাকা। কিন্তু বেড প্রতি আড়াই হাজার টাকার বেশি চারা বিক্রির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। আরেক চাষি গোলাম রসুল জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে চারা উৎপাদন করছেন। এখানকার কপির চারার মান ভালো হওয়ায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুনাম রয়েছে। ফলে চারা বেশি দামেও বিক্রি করতে পারেন তারা। গত মৌসুমে তিনি সাড়ে ৩ লাখ টাকার চারা বিক্রি করেছিলেন। এবার বিক্রি ৪ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। আব্দুলপুরে কয়েকজন চাষি জানান, গত মৌসুমে ২০ কোটির বেশি টাকার বেশি কপি চারা বিক্রি করেছিলেন। চলতি মৌসুমে ৩০ কোটির টাকার চারা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। এবার চারা উৎপাদনে আবাদি জমি বেড়েছে। ফলে বিক্রিও বেশি হবে। চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, আষাঢ়ের শুরুতে জমিতে বেড দিয়ে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়। তারপর বপন করা হয় বাঁধাকপি ও ফুলকপির বীজ। বীজ থেকে চারা গজাতে এক মাস সময় লাগে। এই চারা তারা বিভিন্ন এলাকার চাষিদের কাছে বিক্রি করে। গত বছর ৭৫০ বিঘা জমিতে চারা উৎপাদন করা হয়েছিলো। এবার ১ হাজার ২৫ বিঘা জমিতে চারার আবাদ করেছেন চাষিরা। আব্দুলপুরে উৎপাদিত কপির চারা প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। চারা উৎপাদনে অনেকই নিজেদের ভাগ্য ঘুরিয়েছেন। অনেক কৃষক হয়েছেন লাখপতি। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসান আলী জানান, যশোর ছাড়াও খুলনা, সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গার জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে চাষিরা এসে কপির চারা কিনে নিয়ে যান। কপির চারা উৎপাদন চাষিরা স্বাবলম্বী হচ্ছেন। যশোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার জানান, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুরে বাণিজ্যিকভাবে ফুল কপি ও বাঁধা কপির চারা উৎপাদন হয়। উৎপাদন খরচের বেশি লাভ বেশি হওয়ায় নতুন নতুন চাষি আগ্রহী হচ্ছেন। ফলে ক্রমশ চারা উৎপাদনের পরিমাণ বেড়েছে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)