নিজস্ব প্রতিবেদক: বাঘারপাড়ার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কাতলামী বিলের একটি খামারে চাঁদাবাজি, লুটপাট ও মারপিটের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সাংবাদিকসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে একটি মামলা হয়েছে। বুধবার জয়পুর গ্রামের সেলিমের বাড়ির কাজের মহিলা ও মাগুরা শালিখার কাদিরপাড়া গ্রামের মৃত হাসমত গাজীর স্ত্রী সকিনা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন সিআইডিকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী তাজউদ্দীন আহম্মাদ।
আসামিরা হলো, বাঘারপাড়া থানার সাবেক এসআই খালেদুর রহমান, সাবেক এমপি রনজিৎ রায়ের ছেলে রাজিব রায়, বাঘারপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুর রউফ, শালবরাট গ্রামের সাংবাদিক হুসাইন, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ইকরাম হোসেন, মোসলেম আলী, লিটন, হারুন, সাহাবুর, দিপংকর, উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের বিল্লাল, কবির, নলডাঙ্গা গ্রামের মনির, আনিছুর, সুহান,সুবল, মুছা, ছরোয়ার, খোকন, আজিম, রাসেল, ইউনুচ, লাল্টু, সেলিম রেজা বাদশা, রামকান্তপুর গ্রামের আজগর প্রিন্সিপাল, রায়পুর গ্রামের বিল্লাল, ফেরদৌস, সিলুমপুর গ্রামের নজরুল ওরফে ফেসার, পাইকপাড়া গ্রামের হেলাল ও ধুপখালী গ্রামের চঞ্চল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, জয়পুর গ্রামের হাসমত আলী রায়পুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর আবু ইছার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের কাতলামারী বিলে অবস্থিত হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল ও ভেড়ার খামারে কাজ করতেন। হাসমত বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বিএনপির মিছিল মিটিংয়ে যাওয়া নিয়ে আসামিদের সাথে হাসমতের বিরোধের সৃষ্টি হয়। ২০২১ সালের ৮ জুন আসমিরা আবু ইছার খামারে হামলা করে। এসময় খামারের কর্মচারী হাসমত বাধা দিলে তাকে মারপিট করে জখম ও গরু, ছাগল, হাঁসম মুরগী ও ভেড়া লুট করে নিয়ে যায় আসমিরা। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হলে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় হওয়ায় আর কোন অগ্রগতি হয়নি। চলতি বছরের ২ জুন আসামি আজগর প্রিন্সিপাল খামারে গিয়ে হাসমতের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় সেদিন তিনটি গাভী, ৫ টি ছাগল ও ১০ টি ভেড়া চাঁদা হিসেবে নিয়ে যায়। হাসমত বাধা দিলে আসামিরা তাকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। গত ৭ জুন হাসমত আলী মারা যায়। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর মামলা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পরিবেশ অনুকুলে আসায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।