নিজস্ব প্রতিবেদক : সাড়ে ছয় বছরের বেশি সময় আগে যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রামে রফিকুল ইসলাম মোল্লা ওরফে খোকন মোল্লার বাড়িতে হামলা মারপিট ভাঙচুরের ঘটনায় আদালতে দায়েরকরা পিটিশন কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে। খোকন মোল্লা ওই গ্রামের মৃত হামিক মোল্লার ছেলে। আসামি করা হয়েছে ১৮জনকে।
এরা হলো, গাইদগাছি গ্রামের মৃত আজিজ মোল্লার ছেলে ইমন মোল্লা (২৭), নুরো হাওলাদারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার (৩৬), মৃত হাকিম মোল্লার ছেলে হাছেন মোল্লা (২৩), আজিজুল মোল্লার ছেলে মিরাজ মোল্লা (২১), নাজির আহমেদের ছেলে সোহান আহমেদ (২৫), হাফিজুর মোল্লার ছেলে হাসিব মোল্লা (২৪), জয়নাল মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা (২৫), আলী মোল্লার ছেলে মেজবাহ মোল্লা (২৫), বসুন্দিয় মোড় ফারাজিপাড়ার এরশাদ মোল্লা কন্ট্রাকটরের ছেলে ওমর মোল্লা (২৫), বসুন্দিয়া মোড়ের আনসার আলী বিশ্বাসের ছেলে কাওছার আলী (৪৫), আবুল খানের ছেলে তাজ খান (২৩), গাইদগাছি গ্রামের আজিজুল মোল্লার ছেলে মঈন আহমেদ (২২), মৃত হাকিম মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা (২৫),ইব্রাহিম মোল্লার মেয়ে ধুলি বেগম (২৮), জয়ন্তা গ্রামের মৃত মৃত সাত্তার গাজীর ছেলে হাফিজ গাজী (২৫), মৃত তবিবর রহমান মোল্লার ছেলে এসকেন মীর্জা (২৫), অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ গ্রামের শাহ আলম রাজমিস্ত্রির ছেলে সাগর হোসেন (২৩) এবং সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল মল্লিকের ছেলে লিটন মল্লিক ।
এজাহারে খোকন মোল্লা উল্লেখ করেছেন, আসামিরা সরকারি দলের অনুসারি। ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আসামিরা পূর্ব শত্রæতার জেরে তার বাড়িতে লাঠিসোটা, লোহার রব, শাবল দা নিয়ে ঢোকে। এবং তাকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সারা শরীর পিটিয়ে জখম করে। তার ঘরের মধ্যে ঢুকে শোকেসের ড্রয়ারে রাখা নগদ ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। দুই লাখ টাকা মূল্যের সোনার গহনা চুরি করে। বাড়ি ঘর ভাঙচুর করে ৮ লাখ টাকার ক্ষতি করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ফের হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অনেকদিন ধরে তিনি চিকিৎসা নেন। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১৭টি সেলাই লাগে। পায়ে ও হাতে স্ক্রু লাগিয়ে কোনো রকম তিনি জীবিত আছেন। তার পেছনে লাখ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই সময় তার পরিবারের পক্ষে থানায় মামলা করতে গেলে আসামিরা সরকারি দলের সমর্থক বলে পুলিশ ফিরিয়ে দেয়। ফলে এখন পরিবেশ অনুক‚লে আসায় তার উপরে অত্যাচার নির্যাতনের বিচার দাবি করে তিনি আদালতে পিটিশন দাখিল করেন। পরে ওই পিটিশন কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসাবে গত বৃহস্পতিবার রেকর্ড হয়।