আক্তারুজ্জামান, ডিহি (শার্শা) : ৯ অক্টোবর বুধবার ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ৫ দিনব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপুজা। যশোরের শার্শা উপজেলায় এ বছর ২৮টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে বেনাপোল পোর্ট থানায় ৭টি পূজামণ্ডপ রয়েছে। এবার ২৮ পূজা মণ্ডপেই নিরাপত্তার জন্য থাকছে সিসিটিভি। ইতিমধ্যে প্রতিটি পূজা মন্ডপ গুলোতে প্রতিমা তৈরিসহ রং, পোশাক এবং গহনা পরানোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। শেষ মুহূর্তে সাধ্যানুযায়ী প্রতিটি মন্ডপ গুলোকে আকর্ষনীয় করে তুলতে সাজানো হচ্ছে বাহারি আলোকসজ্জা ও ডেকোরেশনে।
অন্যদিকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ন্যায় এ বছরও প্রতিটি মণ্ডপ গুলোকে বাড়তি সতর্কতায় সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে।
জানা যায়, দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর উপজেলার সীমান্তবর্তী বেনাপোল পোর্ট থানার অন্তর্গত বেনাপোল পাটবাড়ী সার্বজনীন পূজা মন্ডপে উপজেলার ২৮টি মন্ডপের মধ্যে বরাবরের মতো এবারো সবচেয়ে আড়ম্বর ও জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এখানে পূজা অনুষ্ঠান চলাকালীন দেশ বিদেশ থেকে ভক্তবৃন্দ এবং দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে।
উপজেলা প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য মতে, এ বছর শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার অধীনে ২৮ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি পূজা মন্ডপ গুলোতে সরকারি বরাদ্দের ৫০০ কেজি চাল সরবরাহ করা হয়েছে। পূজা উৎসব চলাকালীন সময়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পূজা উৎসব চলাকালীন সময়ে প্রতিটি মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সার্বক্ষণিক পুলিশ, আনসার ভিডিপি সদস্য, সামাজিক স¤প্রীতি কমিটি এবং পূজা মন্ডপ স্বেচ্ছাসেবক কমিটি নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য, বিজিবি ও সেনাবাহিনী সদস্যরা টহলে থাকবেন।
উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শিক্ষক বৈদ্যনাথ দাস বলেন, শার্শা ২১ ও বেনাপোল পোর্ট থানার অধীনে ৭ টি পূজা মন্ডপে এবারের দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শার্শা থানা ওসি শেখ মনিরুজ্জামান জানান, এ বছর শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার অধীনে ২৮ টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজা উৎসব চলাকালীন সময়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।