ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি: খুলনার ডুমুরিয়ায় শোলমারি ১০ ভেন্ট রেগুলেটর দিয়ে পানি সাগরে নামতে শুরু করলেও প্লাবিত এলাকায় এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। গেটের বাইরে শোলমারী নদীর নাব্যতা হ্রসের কারণে ভিতরের পানি খুব বেশি বের হচ্ছে না। প্রায় সপ্তাহ খানেক হলো পানি বের হতে শুরু করেছে। তবে স্রোতের গতি খুবই কম। এদিকে গত দু’দিনের বৃষ্টিতে এলাকায় আরো পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আতঙ্কিত হচ্ছে বানভাসি মানুষরা। রোববার দুপুরে গেটটি পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া ও এসও তরিকুল ইসলাম।
জানা যায়, প্রায় এক মাস যাবত চলছে শোলমারী ১০ ভেন্ট রেগুলেটরের মুখে পলি অপসারণ কাজ। ৩ মিনি ড্রেজিং ও ৪ স্কোভেটর দিয়ে পলি অপসারণ কাজ চলছে। পলিতে রেগুলেটরের সবকয়টি জল কপাট বন্ধ ছিলো। ১ অক্টোবর থেকে পানি বের হতে শুরু করে। কিন্তু যে গতিতে পানি বের হচ্ছে তাতে আগামী ৬ মাসেও এলাকার অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সমতল কৃষি ভূমিতে এখনো ৫ হাতের উপরে পানি। আর কৃষকের ঘেরের ভেড়ির উপরে ১ থেকে দেড় হাত পানি রয়েছে। গেলো দু’দিনের বৃষ্টিতে আরো পানি বেড়েছে।
রংপুর ইউপি চেয়ারম্যান সমরেশ মন্ডল বলেন, গেটদিয়ে খুব কম গতিতে পানি বের হচ্ছে। শোলমারি নদীর নাব্যতা না ফিরলে পানি খুব বেশি বের হবে না। প্রায় এক মাস আমরা পানির উপর ভাসছি। গোটা রংপুর ইউনিয়নের কৃষি জমি থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। গেলো দু’দিনের বৃষ্টিতে আরো ১ ইঞ্চি পানি বেড়েছে।
গেট পরিদর্শনে গিয়ে পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান তাযকিয়া বলেন, গেট দিয়ে পানি সাগরে নামতে শুরু করেছে। বাইরে পলি অপসারণের কাজ চলমান রয়েছে। ধীরে ধীরে স্রোতের গতি আরো বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু প্লাবিত এলাকা অনেক বড়, সে কারণে পানি সরতে কিছুদিন সময় লাগবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ভারিবর্ষণে ডুমুরিয়া উপজেলা উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে পড়ে। এসব এলাকার পানি নিষ্কাশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে শোলমারি, ষষ্ঠিতলা ও চহেড়া স্লুইজ গেট। কিন্তু পলিপড়ে গেটগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে দীর্ঘদিন যাবত। সম্প্রতি তলিয়ে যাওয়ার পর পানি নিষ্কাশনের লক্ষে পলি অপসারণ কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।