দাকোপ প্রতিনিধি: দাকোপে পৌরসভা বিএনপির নেতাসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের হাতে বিএনপি নেতাদের লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় চালনা পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক শেখ মোজাফফর হোসেন জানান, দাকোপ উপজেলার বাজুয়া ইউনিয়নের একটি পারিবারিক সালিশকে কেন্দ্র করে বিএনপি চালনা পৌরসভা আহ্বায়ক, সাংবাদিক ও উপজেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং বাজুয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতার নাম ব্যবহার করে বাজুয়া এলাকার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রসুল সানা নামে এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনৈক কাঞ্চন নামে এক মহিলার কাছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই চাঁদা দাবির বিষয়ে বিএনপির নেতারা কিছুই জানতেন না। পরবর্তীতে বিএনপির নেতাকর্মীরা ও রসুল সানার চাঁদা দাবির বিষয় গুলো মোবাইল কল রেকর্ডের মাধ্যমে জানতে পারে। বিষয়টি স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করলে চাঁদা দাবিকারী ব্যক্তির অভিভাবকদের কাছে শুনতে বলেন। বাজুয়ায় তার বড় ভাইয়ের কাছে বিষয়টি জানালে চাঁদা দাবির বিষয় স্বীকার করে বলেন তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করা হবে। এই কথা শুনে আমরা যখন চলে আসবো তখন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এস এম শামীমের নেতৃত্বে স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগের লোকজন রসূল সানার পক্ষ নিয়ে চালনা পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়কসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের সাথে অসদাচরণ, লাঞ্ছিত ও হেয় প্রতিপন্ন করে। এক পর্যায়ে রসুল সানাকে আইনের হাতে সোপর্দ করার কথা বলে। পরবর্তীতে তাকে আইনের হাতে তুলে না দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত অনেক লোকজন নিয়ে বিভিন্ন রকম মিথ্যা কল্প কাহিনী সৃষ্টি করে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।
সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে চাঁদা দাবি করা ঘটনা সহ সকল মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আ. মান্নান খান, যুগ্ম আহবায়ক দীপক সরদার, পৌর সদস্য সচিব আলামিন সানা, শহীদুল শেখসহ চালনা পৌরসভা ও দাকোপ উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।