Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলা : তারেক ও বাবরসহ সব আসামি খালাস

এখন সময়: শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি , ২০২৫, ০৮:১৭:৫১ এম

 

 স্পন্দন ডেস্ক: ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০ বছর আগে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলার বহুল আলোচিত মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আসামিদের সবাইকে খালাস দিয়েছে হাই কোর্ট।

আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়।

জজ আদালত এ মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদর দিয়েছিল।

সেই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল মঞ্জুর করার পাশাপাশি মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আবেদন (ডেথ রেফারেন্স) হাই কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।

যারা আপিল করেছেন, তাদের পাশাপাশি যারা করেননি, সবাইকে এ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে হাই কোর্টের রায়ে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, মুফতি আব্দুল হান্নানের জবানবন্দির ভিত্তিতে যে সম্পূরক অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে এ মামলার বিচার শুরু হয়েছিল, সেই অভিযোগপত্রই ছিল অবৈধ।

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যার ওই ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোড়ন তুলেছিল।

সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তখন বিরোধী দলীয় নেতা।

১৪ বছর পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা দুই মামলার রায় দেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।

সেই রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

আর খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

এছাড়া এ মামলার আসামি ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।

সেই রায়ের পর্যবেক্ষণে তিনি বলেছিলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায়’ ওই হামলা ছিল দলকে ‘নেতৃত্বশূন্য করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা’।

তিনি বলেন, “রাজনীতিতে অবশ্যম্ভাবীভাবে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে শত বিরোধ থাকবে। তাই বলে বিরোধী দলকে নেতৃত্বশূন্য করার প্রয়াস চালানো হবে? এটা কাম্য নয়।”

রোববার হাই কোর্টের রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী বিএনপি নেতা কায়সার কামাল বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ সম্পূরক চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যা হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে।

“আজকে আমরা, দেশবাসী, জাতি মনে করে, সকলে আজকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আজ মহামান্য আদালত এ চতুর্থ চার্জশিট ও মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে যে চার্জশিটটা দেওয়া হয়, সে চার্জশিটটা আইনবহির্ভূত ছিল। এর আইনগতভিত্তি নেই, তাই খালাস পেয়েছে।”

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এ মামলার বিচার এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল মন্তব্য করে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, “জনাব তারেক রহমান সাহেব আজকের এ রায়ের মাধ্যমে ন্যয়বিচার পেয়েছেন। আজকে প্রমাণিত হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনাব তারেক রহমান সাহেবকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছিল সে রায় আইনগতভাবে মোকাবেলার মাধ্যমে তিনি আজকে বেসকসুর খালাস পেয়েছেন।”

হাই কোর্টে রায়ের সময় কায়সার কামাল ছাড়াও আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন এস এম শাজাহান, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন যেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার।

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গত ৫ অগাস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর এখনো সেখানেই আছেন। দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কেউ কারাগারে, অনেকে অছেন আত্মগোপনে।

হাই কোর্টের রায়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপলি করা হবে কি না, সে বিষয়ে তারা রায় দেখে ও নির্দেশনা নিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)