নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘ভ্যাট দিব জনে জনে, অংশ নিব উন্নয়নে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোরের আয়োজনে মঙ্গলবার ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ ২৪ উপলক্ষে আলোচনা সভা করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আবদুল মজিদ।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট যশোরের কমিশনার শেখ আবু ফয়সল মো: মুরাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো: কামরুজ্জামান, যশোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মিজানুর রহমান খান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার রাকিব হাসান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে সেতু বন্ধন গড়ে তুলতে হবে। জোর করে ভ্যাট আদায় করা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। কেননা ভ্যাটদাতাদের মধ্যে কাস্টম ভীতি থেকে গেছে। হঠাৎ দোকানে গিয়ে কাস্টম খাতা ও দোকানের মেমো নিয়ে চলে আসে। এতে ব্যবসায়ীদের অপমান করা হয়। ভ্যাট আদায় সহজ করতে এলাকা ভিত্তিক সভা ও সেমিনার করলে সরকারের রাজস্ব আদায় বেড়ে যাবে। কেননা রাজস্ব আদায় না হলে দেশের উন্নয়ন হবেনা। উদ্যোক্তা তৈরিতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এজন্য নীতিমালা করা প্রয়োজন যে, একজন উদ্যোক্তা হবার কত বছর পর তিনি ভ্যাট বা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করবেন। ট্রেড লাইসেন্স করার সাথে সাথে ভ্যাট আদায় করলে ওই উদ্যোক্তা হোঁচট খাবে।
বক্তারা বলেন, আমাদের দেশে বিপুল জনগোষ্ঠিকে কাজে লাগাতে না পারলে এই দেশ উন্নয়নে শিখরে পৌঁছাতে পারবেনা। একই সাথে সরকারকে তামাকজাত পণ্য থেকে ভ্যাট আদায় থেকে সরে এসে অন্যখাতে নজর দেয়া প্রয়োজন। তামাকজাত পণ্যের কারণে দেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।
বক্তারা বলেন, গত ১৭ বছর স্বৈরশাসক দেশ পরিচালনা করেছে। তাদের কিছু ব্যবসায়ী ও সরকারি কর্মকর্তারা বিপুল পরিমান অর্থ বিদেশে পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে রেখে গেছেন। ব্যাংকখাতকে দেউলিয়া বানানো হয়েছে। ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য সঠিক সময়ে ব্যাংক ঋণ পাচ্ছেনা ব্যবসায়ীরা। পাচার করা অর্থে বিদেশে বসে কিছু মানুষ বিলাসী জীবন যাপন করছেন। আবার ভিন্নমতের ব্যবসায়ীদের ঠিকমত ব্যবসা করতে দেয়া হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে বাড়ি ছাড়া অথবা জেলে বন্দি রেখেছেন। এজন্য বর্তমান সময়ে সঠিকভঅবে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে। ব্যবসা হলে অবশ্যই ব্যবসায়ীরা ভ্যাট-কর সবই দিবেন। আবার কাস্টমসকেও দেখতে হবে ব্যবসা না হলে ওই ব্যবসায়ী কিভাবে ভ্যাট পরিশোধ করবেন। এজন্য ভ্যাটদাতা ও কাস্টমের মধ্যে সেতু বন্ধনের বিকল্প নেই।