কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি : শুক্রবার ছিল আধুনিক কপিলমুনির স্থপতি রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর ৯১ তম মৃত্যুবার্ষিকী। আর এ দিন টিকে বিশেষ ভাবে স্মরণ করতে কপিলমুনি (বিনোদগঞ্জ) বণিক সমিতির আহ্বানে বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা।
খুলনা জেলার অবহেলিত জনপদ কপিলমুনিতে বাং ১২৯৬ সনের ২৬ বৈশাখ এক মধ্যবিত্ত এক বণিক পরিবারে জন্ম নেন ক্ষণজন্মা এই মহা মানব। শিক্ষা জীবন স্কুলের গোন্ডি পার না হলেও তার অলোকিত কর্ম জীবনই তাকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছে। ছোট বেলা থেকে অর্থ্যাৎ ৯ বছর বয়সে বিনোদের ব্যবসা জীবন শুরু। মাত্র ৪৫ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষণ সমাজ ও মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। বাংলাদেশের সুন্দরবন ঘেষা কপিলমুিনতে জন্ম এবং এখানে ব্যবসা করলে ও শেষ পর্যন্ত তিনি কলিকাতায় বিশাল ব্যবসা করেছেন। তার ব্যবসার সিংহ ভাগ অর্থই ব্যয় করেছেন পল্লী মঙ্গলের তরে। তিনি একাধারে বিনোদগঞ্জ, ভরতচন্দ্র ২০ শয্যা হাসপাতাল, কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দির নামক বিদ্যালয়, অমৃতময়ী টেনিক্যাল স্কুল, বেদ মন্দির, কালী মন্দির, সহচরী সরোবর ও বিনোদ ভবন প্রতিষ্ঠা করেন। বিনোদ বিহারী সাধুর সমাজসেবা ও কর্মদক্ষতার জন্য পুরস্কার হিসেবে তৎকালীণ ব্রিটিশ সরকার তাকে রায়সাহেব উপাধীতে ভ‚ষিত করেন। নিরলস পরিশ্রমের ফলে নানান জটিল রোগে আক্্রান্ত হয়ে বাং ১৩৪১ সনের ৩ মাঘ ইহলোক ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বণিক সমিতি কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে দোকান বন্ধ রাখার প্রচার করে। প্রচারে সাড়া দিয়ে ব্যবসায়ীরা দিনব্যাপী সকল দোকানপাট বন্ধ রাখেন। ক্রেতা সাধারণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কালীবাড়ী ঘাট প্রাঙ্গনে বিক্রি করা হয়।
এ বিষয়ে কপিলমুনি বিনোদগঞ্জ বণিক সমিতির সদস্য সচিব শেখ আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রয়াত রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বাজারের সকল দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে।