মিরাজুল কবীর টিটো: যশোর জেলার নদ-নদীর উপর নির্ধারিত মাপের চেয়ে ছোট ব্রিজ নির্মাণ করে নদনদীকে হত্যা করা হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণের আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে না জানিয়ে নির্মাণ করলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রোববার কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত নদী রক্ষা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন জেলার নদনদীর উপর থেকে ছোট ব্রিজ অপসারণ করে নির্ধারিত মাপ অনুযায়ী ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। সেই সাথে নদীর সীমানা থেকে অবৈধ দখলদার চিহিৃত করে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন সরকার বলেন, বিভাগীয় সভায় জেলায় ১৯ নদীর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। পরে বুড়ি ভৈরব নদী সংযুক্ত করে ২০টি নদীর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। নদীগুলো হচ্ছে নবগঙ্গা, ভৈরব, চিত্রা, ইছামতি, কপোতাক্ষ, বেতনা, আফ্রা, মুক্তেশ্বরী, হরিহর, হাপরখালী, কোদলা শ্রী, হরি, টেকা, হাকর, আতাউ, টেকা, কোদালিয়া, আমড়াখালী, দায়তলা। সেই সাথে অবৈধ দখলদারদের তালিকা দিতে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৬টি নদীর অবৈধ তালিকা করা সম্ভব হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর উপর প্রকৃত ব্রিজের মাপ ৪০ মিটার। অথচ এলজিইডি থেকে ২৫ মিটার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। একারণে ব্রিজ ছোট হয়ে যায়। ভৈরবের শহর অংশের যে পর্যন্ত জোয়ার ভাটা এসেছে সেই অংশ থেকে বাকি অংশ পর্যন্ত ড্রেজিংয়ের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। খবু শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এমদাদুল হক বলেন, পরিবেশের উপর নির্ভর করে পরীক্ষা করে হেলথ কার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ লক্ষে যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি সংগ্রহ করে বিভাগীয় কার্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হবে।
প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন বলেন, ভৈরবের শহর অংশের জোয়ার ভাটা আনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সেইসাথে পানির দুর্গন্ধ দুর করতেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান, ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভুপালী পাল, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না, বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত শোভন সরকার প্রমুখ।