নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরের মুড়লীতে দানবীর হাজি মোহাম্মদ মহাসিনের প্রতিষ্ঠিত ইমাম বাড়া থেকে চুরি হয়েছে দেড়শ বছরের পুরনো রুপার তৈরী সরঞ্জাম। এছাড়া সেখান থেকে চুরি হয়েছে সাউন্ড সিস্টেম, ফ্যান, চেয়ারসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম। গত ৬ জুলাই রাতে যে কোনো সময় ওই প্রতিষ্ঠানের দরজার তালা ভেঙে কে বা কারা সে গুলো চুরি করে নিয়ে গেছে।
এই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান কার্যকরি কমিটির সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
তিনি অভিযোগ করেছেন, যশোর জেলার ঐতিহাসিক প্রত্নতত্ব বিভাগের অন্যতম নিদর্শন হলো হাজি মোহাম্মদ মহাসিনের প্রতিষ্ঠিত ইমাম বাড়া। যেটি শহরের মুড়লীর মোড়ে ১ একর ৬৩ শতক জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। সেখানে রয়েছে ২২৮ বছরের পুরনো স্থাপত্য। ১৯৮৭ সালের ১৯ মার্চ বাংলাদেশ সরকার ইমাম বাড়াকে প্রত্নতত্ব সম্পদ বলে ঘোষণা করে। ইমাম বাড়াটি মুসলিম শিয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের যশোরের কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। সেখান নিয়মিত নামাজ আদায়সহ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালিত হয়ে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। নেই কোনো নৈশ প্রহরী। তবে রাতে দেখাশুনার জন্য প্রত্নতত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে কবরস্থানের পাশে আম্বিয়া বেগম এবং হাজি মোহাম্মদ মহাসিন স্কুলের পিয়ন শফিকুল ইসলামের ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়। তাদের কাছে প্রতিষ্ঠানের পেছনের সামনের গেটের চাবি থাকে। গত ৬ জুলাই পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ইমাম বাড়াতে দিনব্যাপী শোক র্যালী ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেষ হয়। অনুষ্ঠানের ডেকোরেটর সামগ্রী ইমাম বাড়াতে রাখা হয়। ৭ জুলাই সকালে কমিটির সদস্য রহমত আলম সেখানে গিয়ে তালা ভাঙা দেখতে পান। পরে ভেতর ঢুকে দেখেন সেখানে রাখা ভরি ওজনের রুপার তৈরী একটি পাঞ্জা, একটি বড় এমপ্লিফায়ার, ২টি ছোট স্পিকার, ২টি বড় স্ট্যান্ড ফ্যান, ১০টি চেয়ার এবং এসএস স্টিলের তৈরী ১০টি পাঞ্জা নেই। রাতে আধারে কে বা কারা সে গুলো চুরি করে নিয়ে গেছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, ওই এলাকার কিশোর গ্যাং এর সদস্য ও মাদকসেবীরা সেখানে নিয়মিত আড্ডা দিয়ে থাকে। তাদের কোন গ্রুপ এই কাজের সাথে যুক্ত থাকতে পারে।