শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : প্রতিবছরের মত এবারও বাংলাদেশ থেকে উপহারের আম পাঠানো হয়েছে ভারতে। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির জন্য প্রেরিত উপহারসামগ্রী বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। বেনাপোল বন্দর ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ঢাকা মেট্রো ২০-২৭৯০ নাম্বারের একটি আমের ট্রাক প্রবেশ করে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে। তাতে ৪০০ কেজি উপহারের আম ছিল।
উপহারটি পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ নথি ইস্যু করা হয়েছে যাতে বাংলাদেশ সরকারের নামে উপহারটি পাঠানো হচ্ছে মর্মে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। কাঁচামাল জাতীয় এই উপহারসামগ্রী প্রেরণের অনুমতিক্রমে ৮ জুলাই, ২০২৫ তারিখে নোটিশ জারি করে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় প্রশাসন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কূটনৈতিক প্রটোকল অনুসরণ করে পুরো প্রক্রিয়াটি নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং ভারতের কাস্টমস প্রবেশ অনুমতি পেয়েছে গাড়িটি।
এবিষয়ে বেনাপোলের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, “এটি সম্পূর্ণ সরকারি এবং কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত একটি রপ্তানি প্রক্রিয়া। যথাযথ কাগজপত্র এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আমরা গাড়িটি ভারতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিয়েছি।”
এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার আমের ট্রাক ভারতে ঢোকার বিষয়টি গণ-মাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করে জানান, আম বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছালে দ্রুত কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ভারতে পাঠানো হয়।
জানা গেছে, বেনাপোল বন্দরের শূন্যরেখা থেকে উপহারের আম বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহণ করেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাই কমিশনার আশরাফুর রহমান। তিনি পরবর্তীতে নিদিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেবেন।
এদিকে কাগজপত্রে আমের আমদানিকারক ডেপুটি হাইকমিশন দি পিপল ইন্ডিয়া এবং রফতানি কারক উল্লেখ করা হয়েছে মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাপিয়ার ঢাকা। বেনাপোল বন্দর থেকে উপহারের আম ভারতে পাঠাতে কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রবি ইন্টারন্যাশনাল।
এদিকে আম হস্তান্তরের সময় বন্দর কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালে কাস্টমস, বন্দরসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে এক ঘণ্টার জন্য সব গণমাধ্যমকর্মীদের বন্দরে প্রবেশের ওপর নিষেধ করা হয়েছিল। যেকারণে, বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা ভারতে আম যাচ্ছে এতটুকু মন্তব্যের বাইরে আর কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।