মণিরামপুর প্রতিনিধি: মণিরামপুরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে মাছের খাদ্য বোঝাই চলন্ত ট্রাকের ধাক্কায় চালক ও হেলপার নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খলশি গ্রামের আইয়ুব খন্দকারের ছেলে ট্রাক চালক রাজু আহমেদ এবং সোনাবাড়িয়া গ্রামের মিন্টু হোসেনের ছেলে হেলপার এরফান হোসেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহে মণিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে মাছের খাদ্য বোঝাই ট্রাকটি (ঢাকা মেট্রো ট-১২- ৪৩৩৯) রোববার রাতে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলন্ত ট্রাকটি মণিরামপুর ফিলিং স্টেশনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকের কেবিন দুমড়ে মুচড়ে পড়ে। কেবিনের মধ্যেই চালক ও হেলপারের মৃত্যু হয়। পেছন থেকে ধাক্কা দেয়ার পর সামনের ট্রাক একটি বৈদু্যুতিক লাইনের খুটি ভেঙে সামনের দোকানের ভেতর ঢুকে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুৃলিশ গিয়ে দুমড়ে মুচড়ে পড়া কেবিন কেটে চালক ও হেলপারের মরদেহ উদ্ধার করে। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, ধারণা করা হচ্ছে চলন্ত অবস্থায় চালকের তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরে রেকারের মাধ্যমে ট্রাক দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুর দুইটার দিকে মণিরামপুর সরকারি কলেজের দক্ষিণপাশে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় নিহত হয় ভ্যানযাত্রী মণিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামের মৃত আবুল খায়ের দফাদারের ছেলে নাজমুল হোসেন এবং গাইবান্ধা জেলার সাঘাট উপজেলার আব্দুল্লাহপাড়া গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে রতন মিয়া।
মঙ্গলবার বিকেলে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে কাঠ ব্যবসায়ী তারিক হোসেন মোটরসাইকেল চালিয়ে মণিরামপুরে আসার সময় চালকিডাঙ্গা বাজারের পাশে পৌঁছুলে পিছন থেকে চুকনগরগামী বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। নিহত তারিক হোসেন মণিরামপুর পৌরশহরের গাংড়া মোল্যাপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের বড় ছেলে।