মণিরামপুর ও রাজগঞ্জ প্রতিনিধি: মণিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে আহত বিএনপিনেতা আব্দুল মান্নানের মৃত্যু হয়েছে। মান্নান উপজেলার ডুমুরখালি গ্রামে স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। তার ছোট ভাই আবদুল হান্নানের মধ্যে তার সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত: পাঁচজন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী অজিফা খাতুন ফুলির অবস্থার অবনতি হলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার গভীর রাতে আবদুল মান্নানের মৃত্যু হয়। এ দিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আহত ছোটভাই আবদুল হান্নানসহ তিনজনকে আটক করে। তারা এখন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসাধীন আছেন।
এলাকাবাসী পুলিশ ও হরিহরনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, উপজেলার ডুমুরখালি গ্রামের মৃত ইজাহার আলী মোড়লের বড় ছেলে নয় নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবদুল মান্নান এবং ছোট ভাই আবদুল হান্নানের মধ্যে পৈত্রিক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। অভিযোগ রয়েছে এক পর্যায়ে ছোটভাই আবদুল হান্নান ধারালো দা দিয়ে বড় ভাই মান্নানের মাথায় উপর্যপুরি কুপিয়ে আহত করে। এসময় ঠেকাতে আসলে মান্নানের স্ত্রী অজিফা খাতুন ফুলিকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। পরবর্তিতে দুই ভাইয়ের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের আবদুল মান্নান, অজিফা, আবদুল হান্নান, রহমতউল্লাহসহ অন্তত: পাঁচজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধারের পর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে অবস্থার অবনতি হলে আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী অজিফা খাতুন ফুলিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার গভীর রাতে আবদুল মান্নানের মৃত্যু হয়। মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন বাদি হয়ে হান্নানসহ তিন জনের নাম উল্লেখসহ মামলা করেন। পুলিশ ইতিমধ্যে আসামি আবদুল হান্নান, রেশমা খাতুন ও রহমত উল্লাহকে আটক করেছে।