নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর সদরের বাহাদুরপুর তেঁতুলতলা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আলী হোসেন হত্যা মামলায় দুইজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে কোতয়ালি থানা পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় ৫ জনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আল আমিন হোসেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, যশোর শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়ার মবজেল বিশ্বাসের ছেলে রবিউল ইসলাম নবাব ও ঝিনাইদাহ সদরের কঞ্চনপুর গ্রামের অমল কুমার বিশ্বাসের ছেলে দীপক কুমার বিশ্বাস।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আলী হোসেন বাহাদুরপুর তেঁতুলতলা এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি মাটি-বালি ও পুরাতন মটর গাড়ির ব্যবসা করত। এছাড়া আলী হোসেন এলাকায় মাদক ব্যবসা ও ব্যাপক চাঁদাবাজি করত। এতে বাধা দেয়ায় নবাবের মা ও পিতাকে গালিগালাজ করে আলী হোসেন। আলী হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। ২০২৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতিক পাশ করায় পরদিন প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়। ৬ জুন উপশহর ই-ব্লকের ১ নম্বর রোডের মাথার প্রীতিভোজের খাওয়া দাওয়া শেষে গভীর রাতে মোটরসাইকেলে আলী হোসেন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে বাহাদুরপুর পার্কের সামনে পৌঁছালে আসামিরা আলী হোসেনকে ধরে পাশের মেহগনি বাগানে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা মঞ্জুয়ারা বেগম ৬ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় এজাহারনামীয় আসামি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, ইকরামুল সরদার, আনিচুর রহমান টোকন, ইসরাজুল ও এনামুল শেখের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত দীপক কুমার বিশ্বাসকে পলাতক দেখানো হয়েছে।