ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় দেবী বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার পাঁচদিনের সার্বজনীন উৎসব শেষ হয়েছে। এদিন সকাল থেকে দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মাঝেও মণ্ডপ প্রাঙ্গণে ভক্তদের উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে ২১৫ মন্দিরের মধ্যে ১৯৯ মন্দিরের প্রতীমা নিরঞ্জন করা হয়েছে গতকাল বৃস্পতিবার।
জানা যায়, কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব। এবার ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৪ ইউনিয়নে ২১৫টি মণ্ডপে পূজা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দর্পণ বিসর্জনের মধ্যদিয়ে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব সমাপ্তি হয়। দুপুর থেকে অধিক রাত নাগাদ সাহস মধ্যপাড়া, চটচটিয়া, আলাদিপুর উত্তরপাড়া, কৈপুকুরিয়া ভৌমিকবাড়ি, তৈয়েবপুর, দত্তডাঙ্গা, দক্ষিনকালিকাপুর, বৃত্তিভুলবাড়িয়া গাছতলা, মাধককাটি পশ্চিমপাড়া, ধামালিয়া পাকুড়িয়া, রুদাঘরা বকুলতলা, শোলগাতিয়া রুদাঘরা হাদেরামতলা, চহেড়া, খর্ণিয়া বাজার কেন্দ্রীয় মন্দির, বামুন্দিয়া কালিতলা, টিপনা দাসপাড়া, ভদ্রদিয়া, বামুন্দিয়া উত্তরপাড়া, নরনিয়া, রোস্তমপুর পূর্বপাড়া, চুকনগর মালোপাড়া, চুকনগর নন্দীবাড়ি, ১৮মাইল সার্বজনীন পূজা মন্দিরসহ ২০১টি মন্দিরের প্রতিমা নিরঞ্জন করার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিমা বিসর্জনের আগে দেবীর কপালে সিঁদুর দেয়া হয়। এরপর ভক্তবৃন্দ একে অপরের কপালে ও মুখে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। বিবাহিত নারীরা দেবীর প্রতি ভালোবাসা ও বিদায়ের অংশ হিসেবে সিঁদুর পরান। এরপর বিদায়ের এক আনন্দ ও বিচ্ছেদের মিশ্র অনুভূতি প্রকাশ করেন ভক্তরা। এদিন সকাল থেকে দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ব্যাপক উৎসবে মেতে ছিলো।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল চন্দ্র বৈরাগী ও পূজা ফ্রন্টের সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ কুন্ডু টুটুল জানিয়েছেন, দেবী বিসর্জনের দিনে ২১৫ মন্দিরের মধ্যে ২০১টি মন্দিরের প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়েছে। শুক্রবার প্রতিমা নিরঞ্জন হয় রুপরামপুর, কৃষ্ণনগর নিমতলা, দেড়ুলি শাহাপাড়া, ঘোনা মাদারডাঙ্গা, রামকৃষ্ণপুর পশ্চিমপাড়া, মিকশিমিল শাহাপাড়া, গুটুদিয়া মঠ আশ্রম, গুটুদিয়া পশ্চিমপাড়া, কুলটী, আইতলা ও বান্দা সার্বজনীন পুজা মন্দিরের। এছাড়া ডুমুরিয়া কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি মঠ, খড়িয়া মির্জাপুর মঠ ও কাঞ্চননগর সার্বজনীন মন্দিরের প্রতিমা স্থায়ী থাকবে।
থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদ রানা জানান, বিজয়া দশমী পূজা শেষ হওয়ার পর দুপুর থেকে বিভিন্ন মন্দিরের প্রতীমা বির্সজনের কার্যক্রম অধিক রাত্র পর্যন্ত চলেছে। এবার সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে শারদীয় দুর্গাপূজা সমাপ্তি হয়েছে।