নিজস্ব প্রতিবেদক: ঝিকরগাছা বায়শা গ্রামে ভ্যানচালক মাসুদকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে আটক মামুন। ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে মামুন ও তার সহযোগী আলী হাসান ভ্যানচালক মাসুদকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে। শনিবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সুলতানা আসামি মামুনের জবানবন্দি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। মামুন শার্শার যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামুন জানিয়েছে, তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে শার্শার উলশী বাজার থেকে মাসুদের ভ্যানে ওঠে। পরে ঝিকরগাছার বায়শা গ্রামের পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে ভ্যান পরিষ্কারের কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মাসুদকে হত্যা করা হয়। এরপর মাসুদের লাশ জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রেখে ভ্যানগাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরদিন তার সহযোগী আলী হাসান ভ্যান বিক্রির ৩ হাজার টাকা দিয়েছিল।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শার্শা উলাশী খালপাড় এলাকার আজিজ খানের ছেলে মাসুদ ভ্যান চালানোর উদ্দেশ্যে গত ৬ অক্টোবর সকালে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর বাড়ি ফিরে না আসায় ৭ অক্টোবর মাসুদের পিতা আজিজ খান শার্শা থানায় একটি জিডি করেন। গত ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টার দিকে স্থানীয়দের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঝিকরগাছা থানার পুলিশ বায়শা গ্রামের প্রবাসী রবিউল ইসলামের নির্মাণাধীন বাড়ির রান্না ঘর থেকে মাসুদের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আজিজ খান ঝিকরগাছা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আলী হোসেন নামে একজনকে আটক করে। তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার যুগিপুকুরিয়া থেকে ছিনতাইকৃত ভ্যান উদ্ধার এবং ভ্যান ক্রয়ের অভিযোগে আরও দুই জনকে আটক করেছিল পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মামুনকে আটক করে পুলিশ। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার সাথে জড়িত অপর আসামির নাম উল্লেখ করে আদালতে ওই জবানবন্দি দিয়েছে আটক মামুন।