 
                    কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুরে হা-ডু-ডু খেলার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর বাইরেও আরও ১০/১৫ জন আঘাতপ্রাপ্ত ফোলা জখম হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ রাত নয়টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলতে থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিনব্যাপী উপজেলার সাগরদত্তকাটি মধ্যপাড়ায় ৮ দলীয় হা-ড-ুডু খেলা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কেশবপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান আজিজকে মনোনীত করা হয়। এ সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হন ইউনিয়ন বিএনপির বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মুকুল হোসেনের অনুসারীরা। তারা প্রধান অতিথি নির্বাচনের বিরোধিতা করে আজিজের ওপর হামলা চালান বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে আজিজ গুরুতর আহত হন। পরে তার অনুসারীরাও পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
দুই গ্রুপের মধ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় ধাওয়া –পাল্টা ধাওয়া চলে। সংঘর্ষে ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মাসুদ ও সুমনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। গুরুতর আহতদের মধ্যে আজিজ, মাসুদ ও সুমনকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া ইমন, রাকিব, কামরুলসহ ১৫/২০ জন কমবেশি আহত হয়ে বর্তমানে কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় পৌর শহরে ও হাসপাতাল এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।
ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেশবপুর থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা শহর ও হাসপাতাল এলাকায় অবস্থান করছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন দৈনিক স্পন্দনকে বলেন, বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ৯জন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে খুলনায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে