নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে ভুয়া কাবিনামার মাধ্যমে বিয়ের অভিযোগে দুইজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেছেন এক যুবতী। আসামিরা হলো, যশোর সদরের সুলতানপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে তিতাস উদ্দিন ও চৌগাছার মাইক্রোবাস স্টান্ডের পাশের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী মিতা।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন অভিযোগটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
মামলা অভিযোগে জানা গেছে, তিতাস উদ্দিনের সাথে তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন তিতাস উদ্দিন। পরবর্তীতে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে তিনি তিতাসকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। এ মামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিতাস ও সহযোগী মিতা এবং তাদের আত্মীয় স্বজন তার সাথে যোগাযোগ করেন। তারা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একই বছরের ২ অক্টোবর তাকে যশোর থেকে খুলনার দৌলতপুরের অপরিচিত একটি স্থানে নিয়ে যান। সেখানে একটি বাড়িতে রেখে একটি নীল কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। পরে তিতাস ওই যুবতীর বাড়িতে গিয়ে কাবিননামা দিয়ে বিয়ে হয়েছে বলে মামলা তুলে নিতে বলেন। তিতাসের কথায় বিশ্বাস করে তিনি মামলা প্রত্যাহার করে নেন। এরপর তিতাস উদ্দিন ওই যুবতীকে ২০২০ সালের ১৫ নভেম্বর ঢাকায় তার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতেন। কিন্তু কিছুদিন পর তিতাস তার ভাড়া বাড়িতে না যাওয়ায় যুবতী তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি সকালে ওই যুবতী তিতাসের গ্রামের বাড়ি সুলতানপুরে যান। সেখানে তিতাস ও অপর আসামি মিতা ছিলেন। তখন ওই যুবতী তাকে নিয়ে সংসার করতে বললে তিতাস তাকে বিয়ের কথা অস্বীকার করে। তিতাস ও মিতা পরামর্শ করে মামলা থেকে রক্ষার জন্য এ কাবিননামা সৃষ্ঠি করেছে। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।