 
                    নিজস্ব প্রতিবেদক : আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর ৫৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের যশোর জেলা কমিটি তিনদিনের অনুষ্ঠান। 
শুক্রবার বিকেলে টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত এবং উদীচী সংগীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানে শুরু হয়। এর পরেই পরপর তিনটি গনসংগীত ও সমবেত নৃত্য পরিবেশন শেষে হয় আলোচনা সভা। 
সন্ধ্যায় আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাড. আমিনুর রহমান হিরু আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন উদীচীর উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম উদ দ্দৌলা, নারী নেত্রী হাবিবা শেফা, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইকবাল কবির জাহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অশোক কুমার রায়, সুরধুনী যশোরের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহামুদ হাসান বুলু, সুরবিতান সংগীত একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. বাসুদেব বিশ্বাস ও প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে প্রাণ দিয়েছেন দেশের মেহনতি মানুষ ও তাদের সন্তানেরা। কিন্তু গত এক বছরে দেখা গেছে, ভাগ্য খুলেছে শুধু সারজিস, হাসনাতদের। যে বৈষম্য জন্য আন্দোলন হলো; সমাজে এখনো সেই বৈষম্য দূর হয়নি। মুক্ত সাংস্কৃতিক চর্চায় বাধা আসছে। এখনও আগের মতো সাংস্কৃতিক চর্চা আর ধর্মকে মুখোমুখি করে দাঁড় করানো হচ্ছে। স্বৈরাচার পতনের পর আমরা মুক্ত পরিবেশে থাকব বলে প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু এখন মাজার, দরগাহ আক্রান্ত হচ্ছে। বাউল শিল্পী, লোকশিল্পীদের ওপর হামলা হচ্ছে।
পরে আবার হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চলে রাত প্রায় ৮ টা পর্যন্ত। গোটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল সংগীত আর নৃত্য। অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী শিল্পী অংশ নেয় এতে। 
২৯ অক্টোবর ‘স্পর্ধিত হও অশুভের সাথে দ্বন্দ্বে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর ৫৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উদীচী যশোর জেলা সংসদ তিন দিনের অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে। 
প্রথম দিনে (বুধবার) উদীচী প্রাঙ্গণে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং যশোরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। ২য় দিন (বৃহস্পতিবার) যশোরের ভাতুড়িয়া এলাকায় ৫৭ টি তালের চারা রোপণ করা হয়।