কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা-৩ (কালিগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল করে সার্বজনীন নেতা ‘গরীবের ডাক্তার’ ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন প্রদানের দাবিতে চলমান আন্দোলন গড়ালো ১১তম দিনে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ডাকবাংলা মোড়ে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সদস্য রাজু আহমেদ জাকির, আবু হাসান, উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও ইউপি সদস্য শেখ খায়রুল আলম, উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ রবিউল ইসলাম, সাবেক স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক এস এম হাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান খোকা, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম নজু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জিন্নাত খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এস এম সেলিম আহম্মেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আল মামুন, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শেখ আলাউদ্দিন সোহেল, সদস্য সচিব শেখ আব্দুল আজিজ, উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মো. সেলিম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফরহাদ সাদ্দাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আল মামুন, অলিদ হোসেন, সদস্য সচিব শেখ পারভেজ ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন, জেলা তরুণদলের সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, কালিগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল হাকিম, উপজেলা জাসাসের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল লতিফ ও হাসানুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. কিসমাতুল বারী, সাধারণ সম্পাদক মিলন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আইয়ুব হোসেন, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম বাবলু, বিএনপি নেতা মো. শহীদ মোড়ল, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলিম আল রাজি তাপস, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন, চম্পাফুল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খান সাইলুজ্জামান সাইলু, মৌতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়সাল কবির, মৌতলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সিনিয়র নেতা ফজলুর রহমান, ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল গফুর, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকির হোসেন পাড়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, মৌতলা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব কাজি তুহিনুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজি হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দলের দুর্দিনে ও দুঃসময়ে মানুষের পাশে ছিলেন জননেতা ডা. শহিদুল আলম। তিনি একজন সার্বজনীন নেতা। কালিগঞ্জ ও আশাশুনি অঞ্চলে সাধারণ জনগণের কাছে তিনি ‘গরীবের ডাক্তার’ ও ‘গরীবের বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত।
বক্তারা আরও বলেন, এমন একজন জনপ্রিয় মানুষকে মনোনয়ন না দিয়ে দল ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত হয়ে জাপা (না-ফি) থেকে নির্বাচিত সাবেক এক সংসদ সদস্যকে ধানের শীষের প্রার্থী করেছে। তার পরিবর্তে ডা. শহিদুল আলমকে মনোনয়ন না দিলে এ আসনটি বিএনপি হারাবে—এটা নিশ্চিত।
তারা জানান, বিএনপিকে বাঁচাতে বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে লাগাতার আন্দোলন করছেন। এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন ডা. শহিদুল আলমকে অন্তর থেকে ভালোবাসেন এমন সাধারণ মানুষও। এজন্য সনাতন ধর্মাবলম্বী, বৃদ্ধ ও নারীরাও আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। টানা ১১ দিন ধরে আন্দোলন চলছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ডা. শহিদুল আলমের মনোনয়নের দাবিতে ৩ নভেম্বর থেকে আমরা রাজপথে রয়েছি। যতদিন লাগবে, ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে আমরণ অনশন কর্মসূচিও পালন করব।
প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণার তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ, মঙ্গলবার সকাল থেকে নলতায় অর্ধদিবস হরতাল ও সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ, বিকেলে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ, বুধবার মানববন্ধন, বৃহস্পতিবার কালো পতাকা মিছিল করা হয়। শুক্রবার জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি পালনের জন্য একদিন বিরতি দিয়ে শনিবার উপজেলা সদরে বিক্ষোভ সমাবেশ, ৯ নভেম্বর রোববার উপজেলার চাম্পাফুল ও তারালী ইউনিয়নে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং ১০ নভেম্বর (সোমবার) বিকেলে উপজেলা সদরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন।