Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

যশোর-৫ আসনে বিএনপির দুই মনোনয়ন প্রত্যাশীর পাল্টাপাল্টি ‘শোডাউন’

এখন সময়: রবিবার, ২৩ নভেম্বর , ২০২৫, ০৯:০৩:১২ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দুই নেতার সমর্থনে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার দুপুর একটা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আসাদুজ্জামান মিন্টু। দেড় হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এলাকায় মোটর শোভাযাত্রা বের করেন তিনি। অন্যদিকে বিকাল তিনটা থেকে পৌর শহরে বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সমাগম ঘটিয়ে র‌্যালি করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ মোহাম্মদ ইকবালের কর্মী সমর্থক। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই নেতার এই কর্মসূচিকে স্থানীয় লোকজন ‘পাল্টাপাল্টি শোডাউন’ হিসেবে মনে করছেন। পাল্টাপাল্টি শোডাউনকে ঘিরে কোথাও অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটলেও পৌর শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান করতে দেখা গেছে।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসন গঠিত। গত ৩ নভেম্বর বিএনপি ২৩৭ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। ওই তালিকায় যশোর-৫ (মণিরামপুর) আসনের প্রার্থীর নাম খালি রাখা হয়েছে। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোটের প্রার্থী কে হচ্ছেন, সেটি নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। শেষ পর্যন্ত জোটের শরিক নাকি নিজ দলের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সেটি নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। বারবার জোটের শরীককে ছেড়ে দেওয়া আসনটি এবার ছাড়তে নারাজ বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। প্রাথমিক মনোনয়নে প্রার্থী নাম ঘোষণা না হলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার আশায় মাঠ সরগরম রেখেছেন বিএনপির সম্ভাব্যপ্রার্থীরা।
তারই অংশ হিসাবে দুপুর ১টায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টুর নেতৃত্বে মোটর শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় দলীয় নেতাকর্মীরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। মনিরামপুর বাজার থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি নির্বাচনী এলকার গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো প্রদক্ষিণ করে। এসময় ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান দেন বহরে অংশ গ্রহণকারীরা। শোভাযাত্রাটি উপজেলার খানপুরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন মনোনয়ন প্রত্যাশী ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু। পরে সেখানে উপজেলায় বিগত সরকারের সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতিত হয়ে মৃত্যুবরণকারী নেতাদের শান্তিকামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মনোনয়ন প্রত্যাশী আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, ‘তিনি বিগত ১৭ বছর নির্যাতিত নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। এলাকার উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন। দল তার উপর আস্থা রাখলে এ আসনটি পুরুদ্ধার করতে পারবেন তিনি।’
অন্যদিকে মনিরামপুর পৌর শহরের গরুহাটখোলা রোড থেকে মিছিল বের করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহীদ ইকবালের কর্মী সমর্থক। এসময় শহীদ ইকবাল উপস্থিত না থাকলেও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। শোভাযাত্রাটি মণিরামপুর বাজার প্রদক্ষিণ করে উপজেলা মোড়ে শেষ হয়। এসময় শহীদ ইকবালের ছবি সম্বলিত ছবি নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে স্লোগান দেন র‌্যালিতে অংশ গ্রহণকারীনেতাকর্মীরা।
জেলার দায়িত্বশীল নেতারা জানান, গুঞ্জন রয়েছে ওই আসনে বিএনপি জোটের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা রশিদ আহমাদকে প্রার্থী করা হতে পারে। চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার আশায় উপজেলা বিএনপি এই দুই শীর্ষ নেতা ছাড়াও মাঠ সরগরম রেখেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার সেলিম অগ্নিও। তিনিও নিয়মিত প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা বিএনপি সভাপতি শহীদ মুহাম্মদ ইকবাল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কোনো নেতাকর্মী আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন না। আন্দোলন-সংগ্রামে যাদের অবদান নেই, তাদের মনোনয়ন দিলে দল আসন হারাবে। তাই আমাদের বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)