নিজস্ব প্রতিবেদক : বীমার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে তিনটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যশোর সদরের দেয়াপাড়ার শেখ সাইফুল ইসলাম, ঝিকরগাছার হাড়িয়া গ্রারেম আসমা বেগম ও একই গ্রামের পারভীনা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবা শারমিন অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিদের প্রতি সমন জারির আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো- ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান খাইরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসান, অতিরিক্তি পরিচালক শহিদুল ইসলাম, সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রাহিম ভুইয়া, হিসাব কর্মকর্তা কেএম শামসুদ্দিন ও যশোরের ডিভিশন অফিসার আব্দুল মান্নান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে- শেখ সাইফুল ইসলাম, টিপু সুলতান, আমিনুর রশিদ খান, খান মিরাজ আলী ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির যশোর শাখায় চাকরি করতেন। চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি আসামিরা কোম্পানি থেকে তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে দিয়ে দেয়। এরপর তাদের অবসরকালিন ভাতার ও ইন্সুরেন্সের টাকা না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এমামলা করেছেন।
অপরদিকে, ঝিকরগাছার হাড়িয়া গ্রামের ওমর আলীর স্ত্রী আসমা বেগম বার্ষিক ৫৫ হাজার ১৫০ টাকা কিস্তিতে ১০ বছর মেয়াদী বীমা করেন। পরবর্তীতে ১০ বছর পূর্ণ হলে আসামিরা তার পাওনা ৪ লাখ ৪১ হাজার ২শ’ টাকা ফেরত না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।
এছাড়া একই গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী পারভীন বেগম ১০ বছর মেয়াদী বার্ষিক ১১ হাজার ১৪৪ টাকা কিস্তিতে বীমা করেন। বীমার মেয়াদ শেষে তার পাওনা ২ লাখ ৪২ হাজার ৮৮০ টাকা ফেরত না দিয়ে ঘোরাতে থাকে আসামিরা। বীমার টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।