মিরাজুল কবীর টিটো : মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর বিএম আব্দুল হান্নান বলেন- শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন একটি চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে শিক্ষকের আর্থিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সারাদেশে ৪ লাখ মাধ্যমিক শিক্ষককে ইএফটির মাধ্যমে বেতন দেয়া হয়েছে। একার্যক্রম চলমান থাকবে। সেইসাথে তাদের দাবির বাড়ি ভাড়ার ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। যশোর সরকারি এমএম কলেজে শনিবার সকালে শিক্ষক মিলনায়তনে ‘শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে শিক্ষকের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন-শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা একাডেমির মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের মাধ্যমে নির্বাচিত করে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে একই নিয়ম। সেই সাথে শিক্ষকের সম্মান বৃদ্ধির জন্য জাতীয় পর্যায়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গুণী শিক্ষক নির্বাচিত করে ক্রেস্ট দিয়ে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। যাতে করে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। এর বাইরে দক্ষ শিক্ষককে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া যায়। তবেই শিক্ষার গুণগত মান্নোয়ন হবে। বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগম। এমএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এসএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অর্থনীতির প্রফেসর এনাম হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক মেহের আফরোজ, ব্যবস্থাপনা বিষয়ের প্রফেসর আতিয়ার রহমান, রসায়নের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন, বাংলার সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান, সমাজবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক। পরিচালনা করেন বাংলার সহকারী অধ্যাপক রেহমান আজিজ ও ইসলামের ইতিহাসের প্রভাষক আশরাফুজ্জামান। এদিকে বিকেলে যশোর শিক্ষা বোর্ডে ‘শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে করনীয়’ বিষয়ক মতবিনিময় সভা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেন- শিক্ষার মানোন্নয়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছিল। কোন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ শিক্ষার মানোন্নয়নে চেষ্টা করেননি। বর্তমান সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছে। যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগমের সভাপত্বি চট্টগ্রাম বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রফেসর সায়েদা ইয়াসমিন, যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. আব্দুল মতিন, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর এসএম তৌহিদুজ্জামান, বিদ্যালয় পরিদর্শক সহযোগী অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেনসহ বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। পরিচালনা করেন বোর্ডের সচিব প্রফেসর এসএম মাহাবুবুল ইসলাম।