শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : দীর্ঘ তিন মাসের স্থবিরতা কাটিয়ে আবারও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে তিনটি ট্রাকে মোট ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স এইচ কে এ এন্টারপ্রাইজ (সাতক্ষীরা) ও মেসার্স সাবাহ এন্টারপ্রাইজ (যশোর)-এর মাধ্যমে পেঁয়াজের এ চালান বেনাপোল বন্দরে পৌঁছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমদানিকৃত পেঁয়াজের ছাড়করণকারী প্রতিষ্ঠান রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল। তিনি জানান, আপাতত তিনটি ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সর্বশেষ মাত্র ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল।
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে বেনাপোলসহ আশপাশের বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে বেনাপোল কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা এবং দেশি শুকনো পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১০ টাকা কমে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি শুরু হওয়ার খবরে মোকাম পর্যায়ে দাম কমে আসায় এর প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে। আমদানি স্বাভাবিক হলে বাজারে পেঁয়াজের দাম আরও সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে বলে আশা করছেন তারা।
বেনাপোল উদ্ভিদ সংঘনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সীমিত পরিসরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। প্রতিদিন ২০০ জন আমদানিকারক ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) পাবেন এবং একজন আমদানিকারক ৩০ থেকে ৬০ মেট্রিক টন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন। তিনি পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে আইপি উন্মুক্ত করার দাবি জানান, যাতে বাজারে দাম আরও কমে আসে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক শামীম হোসেন জানান, সোমবার তিনটি ট্রাকে করে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে। ওপারের পেট্রাপোল বন্দরে আরও কয়েকটি পেঁয়াজবাহী ট্রাক অপেক্ষমাণ রয়েছে। সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। পেঁয়াজের চালান দ্রুত খালাসের জন্য বন্দরে সব ধরনের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এদিকে আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাধারণ ক্রেতারাও।