Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে দামি ইনজেকশন কোথায় যাচ্ছে ?

এখন সময়: শনিবার, ২০ ডিসেম্বর , ২০২৫, ১২:৫৩:১৭ এম

বিল্লাল হোসেন: যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসায় দামি ইনজেকশন মিলছে না। ফলে দামি ইনজেকশন কিনতে গিয়ে গরিব রোগীর স্বজনেরা হিমশিম খাচ্ছে। ইনজেকশন কিনতে না পারা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা হচ্ছে না। ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকাদের অনিয়মের কারণে সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও বিনামূল্যের অনেক ইনজেকশন পাওয়া থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। নানা অজুহাতে দামি ইনজেকশন কোথায় যাচ্ছে তা কেউ জানেনা। জানা গেছে, যশোরসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা ও উপজেলার রোগীদের আশা ভরসার স্থল হলো যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল । সরকারি এই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠনে প্রতিদিন দ্বিগুনের বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। বহির্বিভাগে গড় চিকিৎসা সেবা নেন ৯শ’ থেকে ১ হাজার রোগী। স্বনামধন্য এই হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত পাওয়ায় যশোরসহ নড়াইল, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, মাগুরা জেলার অধিকাংশ গরিব মানুষ চিকিৎসা নিতে এখানে আসেন। উদ্দেশ্য একটাই অল্প খরচে উন্নত চিকিৎসাসেবা পাওয়া। গরিব মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে এই হাসপাতালে ৮৪ প্রকারের ওষুধ সরবরাহ কর হয়। এর মধ্যে ইডিসিএল ৪৪ প্রকার ও স্বাস্থ্য অধিদফতর ও স্থানীয় অর্থে টেন্ডারের মাধ্যমে অবশিষ্ট ৪০ প্রকার ওষুধ কর্তৃপক্ষ ক্রয় করে। কিন্তু বিনামূল্যের অনেক ইনজেকশন রোগীরা পাচ্ছেন না। ভর্তি রোগীদের চিকিৎসার জন্য অধিকাংশ ইনজেকশন বাইরে থেকে কেনার জন্য স্লিপ করে দেয়া হচ্ছে। ইনজেকশন মেরোপেনাম ১ গ্রাম, সেফুরক্সিম ৭৫০ এমজি, সেফট্রিঅ্যাকসন ১ গ্রাম ও ওমেপ্রাজল, নক্সারিন’ রোগীর চিকিৎসার জন্য বাইরে থেকে কিনে আনছেন স্বজনরা। তবে প্রভাবশালী ব্যক্তির কোন রোগী ভর্তি হলে রয়েছে ভিন্নতা। চিকিৎসার জন্য প্রায় ওষুধ দেয়া হয় হাসপাতাল থেকে। অথচ গরিব রোগীরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দিনমজুর আবু হানিফ জানান, তার রোগী মহিলা সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল। রোগীর ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসক প্রতিদিন দুটি করে মেরোপেনাম ইনজেকশন লিখেন। যার প্রতিটির মূল্য সাড়ে ১৩শ’ টাকা। দামি ইনজেকশন কিনতে গিয়ে তার হিমশিম খেতে হয়। পুরুষ সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজন আতিয়ার রহমান, মিয়ারাজ হোসেনসহ অনেকেই জানান, রোগীর ভর্তির পর বিনামূল্যের ইনজেকশন দেয়া হয়নি। সেবিকা স্লিপ দেওয়ার পর সেফুরক্সিম ৭৫০ এমজি ও সেফট্রিঅ্যাকসন ১ গ্রাম ও ওমেপ্রাজল ইনজেকশন বাইরে থেকে কিনে আনেন। আরেক রোগীর স্বজন পারভীন আক্তার জানান, তার রোগীর জন্য প্রতিদিন দুইটা করে সেফট্রিঅ্যাকসোন এবং ওমেপ্রাজল ইনজেকশন কিনতে হচ্ছে। বিনামূল্যে ইনজেকশন দেয়া হচ্ছেনা। মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীর স্বজন আনিকা ইসলাম জানান- তার মায়ের জন্য অধিকাংশ ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। দামি ইনজেকশন দুরের কথা গ্যাসের ইনজেকশন পর্যন্ত দেয়া হয়নি। রোগীর স্বজনদের ভাষ্যমতে, ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সেবিকারা স্লিপ দেয়ার সময় বলে থাকেন বনামূল্যের সেফুরক্সিম ৭৫০ এমজি ও সেফট্রিঅ্যাকসন ১ গ্রাম ও গ্যাসের ইনজেকশন শেষ। সব রোগীদের দেয়া সম্ভব হয়না। কারণ রোগীর তুলনায় সরবরাহ কম। এমন কথা বলে তারা দায় এড়িয়ে যায়। ফলে অধিকাংশ রোগীদের জন্য বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। ‘জীবন রক্ষাকারী দাম ইনজেকশন বিনামূল্যে না পাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। বাইরে থেকে দামি এসব ইনজেকশন কেনার মতো সামর্থ না থাকায় অনেকে হাফিয়ে উঠছেন। ওয়ার্ড ইনচার্জ সেবিকা ও দায়িত্বরত সেবিকাদের কারসাজিতে মানুষ সরকারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, ওষুধের তেমন সংকট নেই। তবে সরবরাহ না থাকলে সেটা ভিন্ন ব্যাপার। রোগীদের বিনামূল্যের ওষুধ দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। কেনো রোগীরা পাচ্ছেন না খোঁজ নেয়া হবে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)