Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

শীতের দাপট চলছেই : যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি

এখন সময়: রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর , ২০২৫, ১২:০৮:৩৭ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে শীতের দাপট অব্যাহত রয়েছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও বিরাজ করছে এই জেলায়। শনিবার যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরপর দু’দিনে যশোরের এই তাপমাত্রাও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আওহাওয়া অফিস। আর শৈত্যপ্রবাহের সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় যেনো হাড়েও কাঁপন লাগছে। কনকনে শীতে শ্রমজীবী মানুষ ও প্রাণিকুলের জীবনযাত্রা দুবির্ষহ হয়ে উঠছে।
আবহাওয়া অফিস সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোরাঞ্চলে পৌষের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ব্যারোমিটারের পারদ নেমে গেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আর সেই সাথে গত কয়েকদিন ধরে বিরাজ করছে কুয়াশা ও বাতাসের দাপট। দুইয়ে মিলে কাঁপন লেগেছে হাড়ে। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) যশোরের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে শুক্রবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিলো যশোরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়ামের মধ্যে নেমে আসলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়ামের মধ্যে নেমে আসলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ, ৪ দশমিক ১ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়ামের মধ্যে নেমে আসলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়ামের নিচে নেমে গেলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কোথাও কোথাও তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় ঠান্ডার অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, প্রচন্ড শীতের কারণে মানুষজনের স্বাভাবিক কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে। মোটা জ্যাকেট, মাফলারে ঢেকে মানুষজনকে জুবুথুবু হয়ে পথ চলতে দেখা যায়। হাড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হননি অনেকে। শীতের কারণে সারা দিনই গরম পোশাক পরে মানুষজনকে চলাচল করতে দেখা যায়। সন্ধ্যার পর থেকে শহরে মানুষের উপস্থিতি কমতে শুরু করে।
তবে শৈত্যপ্রবাহ হলেও ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই শ্রমজীবী মানুষের। যশোর শহরের লালদীঘি পাড়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪শ’ মানুষ শ্রম বিক্রির জন্য জড়ো হয়ে থাকেন। প্রচন্ড শীতে সেই সংখ্যা অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে তারপরও কাজ না পাওয়ায় অনেকেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কিছু মানুষ অনেক বেলা অবধি অপেক্ষা করছেন কাজের আশায়। বাহাদুরপুর এলাকার সুজন মিয়া বলেন, শীতে একদিন কাজ পাই তো, তিনদিন পাই না। গত এক সপ্তাহ ধরে কাজ হচ্ছে না। শীতের মধ্িেয প্রতিদিন ভোরবেলায় এসে বসে থেকেও কোনো লাভ হচ্ছেনা।
শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার নির্মাণ শ্রমিক মো. মিনহাজ বলেন, শীতে বাইরে দাঁড়াতে পারছি না। অনেক কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু উপায় নেই। কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। ঠিকমত কাজও পাচ্ছি না।
শহরের শংকরপুর এলাকার শ্রমজীবী নজরুল ইসলাম বলেন, বিল্ডিংয়ের রঙের কাজ করি। কাজের সন্ধানে এসেছি। এখানে বসে আছি। এখনো কাজ পাইনি। শীতের ভিতরে অনেক কষ্ট হচ্ছে। পেটের দায়ে ঘরের বাইরে বের হয়েছি। কাজ পাবো কিনা জানি না।
শহরের রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক হানেফ আলী বলেন, শীতে ঘরে থেকে মানুষ বের হচ্ছে খুবই কম। এজন্য যাত্রী পাচ্ছি না। আয় রোজগারও কমেছে। খুবই কষ্টে দিন পার করছি।
এদিকে, শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির ফলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। জ্বর, হাঁচি, কাশিসহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শীতকালীন রোগবালাই থেকে রক্ষা পেতে গরম পানি পান করাসহ গরম কাপড় ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)