নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর সদরের বড় গোপালপুর গ্রামের গৃহবধূ সুমাইয়া আক্তার সুমনা আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলায় স্বামী-শাশুড়িকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় তিনজনের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ তানিম ইসলাম।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো- বড় গোপালপুর গ্রামের হাজের আলী মোল্যার স্ত্রী টুকু ওরফে জাহানারা বেগম ও ছেলে হৃদয় হাসান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে আসামি হৃদয় হাসান পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে যশোর সদরের চাঁনপাড়ার মেজবার আলীর মেয়ে সুমনাকে। বিয়ের পর থেকে সুমনার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করত স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরবর্তীতে আসামিরা যৌতুকের দাবিতে সুমনাকে মারপিট করে এবং পিতার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। গত ৩০ মে আসামিরা সুমনাকে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে। বিষয়টি সুমনা তার ভাইকে জানায়। যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচনা দেয়। রাগে ক্ষোভে আসামিদের প্ররোচনায় সুমনা তার শ্বশুর বাড়িতে আত্মহত্যা করে। এ সংবাদ জানতে পেরে পরিবারের লোকজন যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সুমনার লাশ পায়। এ ঘটনায় সুমনার ভাই সুমন হোসেন বাদী হয়ে স্বামী-শ্বশুর ও শাশুড়িসহ ৫ জনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় হারেজ আলী, শম্পা খাতুন ও শরিফুল কবির বিপ্লবের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে। চার্জশিটে অভিযুক্ত দুইজন জামিনে আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।