চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভালাহাটে বরই বাগানে ফল না আসায় হতাশ হয়ে বরই চাষিরা বাগান কেটে ফেলে অন্য ফসল চাষে ঝুকছেন। বিভিন্ন জাতের বরই গাছে ফুল আসলেও ফল না আসায় চাষিরা তাদের বরই বাগান কেটে ফেলছেন। এতে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা।
জানা গেছে, ভোলাহাট উপজেলার অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক মৌসুমি ফসল হিসেবে বরই চাষ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছিলেন। বিভিন্ন এনজিও’র কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে রবই চাষ শুরু করেন তারা। বাগানের গাছগুলো ফুলে ভরে ওঠে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফল না ধরাতে লাখ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে নিজের গড়া বাগানের গাছ কেটে ফেলছেন চাষিরা। ভোলাহাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বরই চাষ হয়েছে এবং প্রতি হেক্টরে ৫ মে. টনের বেশি বরই উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে স্থানীয় বরই চাষিরা বলছেন, কৃষি দপ্তরের হিসাব ঠিক নেই। কারণ তাদের জানা মতে ভোলাহাট উপজেলায় প্রায় ৪’শ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হয়েছে।
এদিকে বরই চাসি রবিউল ইসলাম জানান, এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি অন্যের কাছ থেকে লীজ নিয়ে বরই চাষ শুরু করেন তিনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফল না আসায় হতাশ হয়ে গাছ কেটে ফেলে অন্য ফসল উৎপাদনের চিন্তা করছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রায় দেড় লাখ টাকা খরচ করা হয়েছিল। কিন্তু গাছে ফল আসলে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা আয় হওয়ার আশা ছিল তার। এখন এনজিও’র ঋণের টাকা কিভাবে দেবেন এনিয়ে তিনি চিন্তিত আছেন।
অন্যদিকে পোল্লাডাঙ্গা লম্বাটোলা গ্রামের বরই চাষি মজিবুর রহমান জানান, গত বছর বাগানে নিয়মিত সার, কীটনাশক প্রয়োগ করে বরইয়ের দাম না পাওয়া এবং এবার ফল না আসাতে গাছ কেটে ফেলে তিনি সরিষা আবাদ করার কথা ভাবছেন। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ সাগর আলী জানান, পরিবর্তিত আবহাওয়ায় ভোলাহাট উপজেলায় বরই ফলের দানা গঠনে জাত ভিত্তিতে ভিন্নতা দেখা গেছে। তবে সুন্দরী জাতের বরইয়ে সমস্যা দেখা দিলেও অন্য জাতের বরইয়ে সমস্যা দেখা যায়নি।