Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

❒ভুয়া চিকিৎসক কবীরকে জেল জরিমানা ও সংবাদ প্রকাশের জের

সাংবাদিক বিল্লালসহ দুইজনকে হত্যার পরিকল্পনা!

এখন সময়: শনিবার, ১২ জুলাই , ২০২৫, ০২:২৩:৩৩ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক: দৈনিক স্পন্দন পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক সাংবাদিক বিল্লাল হোসেনসহ দুইজনকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পত্রিকায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ ও জেল জরিমানায় ক্ষুব্ধ হয়ে যৌন ও ক্যান্সারের ভুয়া চিকিৎসক খন্দকার কবীর হোসেন হত্যার এই পরিকল্পনা করে। অভিযোগ উঠেছে, মিশন সফল করতে প্রতারক কবীর এলাকার জিল্লুর রহমান নামে এক সন্ত্রাসীর সাথে হাত মিলিয়েছে। কিলার ভাড়া করা বাবদ গত রমজান মাসের শেষের সপ্তাহে তিনি (কবীর) তাকে (জিল্লু) মোটা অংকের টাকা দিয়েছেন। বর্তমানে তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের দারস্থ হচ্ছে। সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন ও তথ্য সহায়তাকারী সন্দেহে আব্দুর রাজ্জাককে হত্যার পরিকল্পনার সময় উপস্থিত একজন বিষয়টি ফাঁস করে দিয়েছেন। হুমকি ধামকির শিকার হয়ে বিল্লাল হোসেন আগেই কোতেয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। আর ১২ জুন থানায় জিডি করেছেন আব্দুর রাজ্জাক।

সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা মল্লিকপাড়ায় ননী ফল নার্সারির আড়ালে চিকিৎসার নামে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন খন্দকার কবীর হোসেন।  তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের দুর্বলতাকে পূঁজি করে যৌন ও ক্যান্সার চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিচ্ছিলেন। তার প্রতারণা ও অপকর্ম নিয়ে  কবীরের বিরুদ্ধে দৈনিক স্পন্দন পত্রিকায় ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হয়। ফলে আপাদমস্তক এই প্রতারকের  মুখোশ উন্মোচন হয়। এতে করে সাংবাদিক বিল্লাল হোসেনের ওপর ক্ষুব্ধ হন কবীর। বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়া শুরু হয়। গত ৩১ মার্চ বিকেলে চুড়ামনকাটি রেলস্টেশনের উত্তরপাশে সলিং রাস্তার ওপর বিল্লালকে একা পেয়ে খন্দকার কবীরসহ অজ্ঞাত ৩ জন  অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ জীবন নাশের হুমকি দেন। এই ঘটনায় সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন গত ৬ এপিল কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন। যার নম্বর ২৮৪। এছাড়াও সাংবাদিককে শায়েস্তা করার জন্য আদালতে চাঁদাদাবির মিথ্যা মামলা করেন কবীর। মামলাটি তদন্ত করছেন পিবিআই।

এদিকে, গত ১৭ মে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রতারক কবীর হোসেনের ডেরায় অভিযান চালায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৌম্য চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্যান্সার ও যৌন  চিকিৎসায় প্রতারণা ও অবৈধভাবে ওষুধ তৈরির দায়ে খন্দকার কবীর হোসেনকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও  এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে। এ সময় যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হাসান, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ও র‌্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন আরও জানান, জামিন নিয়ে গত ২ জুন বাড়িতে ফেরে কবীর হোসেন। এরপর থেকে সাংবাদিককে শায়েস্তা করার জন্য তিনি মরিয়া হন।

ছাতিয়ানতলা মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রতারক কবীরের ধারণা তিনি (রাজ্জাক) সাংবাদিক ও প্রশাসনকে তথ্য দিয়েছেন। এই জন্য তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এমনকি ১২ জুন রেলস্টেশন খয়েরতলায় তার মোটরসাইকেল গ্যারেজে এসে কবীর হোসেন প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি দিয়েছে।

রাজ্জাক আরও জানান, হুমকির সময় সাংবাদিক বিল্লাল হোসেনও নিয়ে নানা মন্তব্য করেন ওই প্রতারক। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঘটনার দিন তিনি যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি জিডি করেছেন। যার নম্বর ৬৮৬।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জানিয়েছেন, প্রতারক খন্দকার কবীর হোসেন গেলো রমজান মাসের শেষের দিকে সাংবাদিক বিল্লাল হোসেন ও তথ্য সরবরাহের সন্দেহে আব্দুর রাজ্জাককে হত্যার পরিকল্পনা করে। চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের আব্দুলপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী পরিকল্পনার সময় সেখানে ছিলো। ওই দিন কিলার ভাড়া বাবদ জিল্লুর রহমান মোটা অংকের টাকা নেয় কবীরের কাছ থেকে। 

তিনি আরও জানান, জিল্লুর রহমান একজন চোরাকারবারী সদস্য। বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের সাথে তার ভালো সম্পর্ক। যে কারণে কবীর হোসেন তার সাথে হাত মিলিয়ে মিশন সফল করতে চাইছে।

এই বিষয়ে চুড়ামনকাটির সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এএসআই মনির সিদ্দিকী জানান, জিডির কপি হাতে পেয়েছি। তদন্তের অনুমোদন পাওয়ার জন্য কপি আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)