Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

দুই দিনে সাতক্ষীরার ১৫ গ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগ

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই , ২০২৫, ০১:৩২:০৯ পিএম

শাকিলা ইসলাম জুঁই, সাতক্ষীরা : প্রবল জোয়ারের কারণে সাতক্ষীরার সুন্দরবন সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীর দূর্গাবাটি সাইক্লোনশ্লেটার সংলগ্ন বেড়িবাঁধটি গত দুই দিনেও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারদের সহায়তায় বাঁশ খুটি পুতে ও বালির বস্তা দিয়ে রিংবাঁধের মাধ্যমে সংস্কার কাজ করছে। কিন্তু খোলপেটুয়া নদীর তীব্র জোয়ারের কারণে কোনভাবেই লোকালয়ে পানি প্রবেশ ঠেকাতে পারেনি। ভাটার সময় লোকালয় থেকে কিছুটা পানি নেমে গেলেও দিনে দুই বার জোয়ারের তীব্রতায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে দূর্গাবাটি সাইক্লোনশ্লেটার সংলগ্ন ২০০ ফুট এলাকাজুড়ে উপকুল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। গত দুই দিনে ভেঙে যাওয়া বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার সংস্কার করতে ব্যর্থ হওয়ায় গত ৪৮ ঘন্টায় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের মোট ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার হেক্টর মৎস্যঘের ও ছোট-বড় পুকুরের মাছ। পানি পানি বন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পশ্চিম পোড়াকাটলা, পূর্ব পোড়াকাটলা, পশ্চিম ও পূর্ব দূর্গাবাটি, আড়পাঙ্গাশিয়া, দাতিনাখালীসহ আশে পাশের আরও ১০ গ্রামের নিন্মাঞ্চল। এছাড়া হাজার হাজার বিঘা মৎস্যঘের লোনা পানিতে একাকার হয়ে আছে। ভেসে গেছে কোটি কোটি টাকার চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে ঘের ব্যবসায়ীরা। গ্রামবাসীরা লোনা পানিতে বন্দি হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম জানান, রিং বাঁধের মাধ্যমে বাঁধটি সংস্কারের কাজ চলমান আছে। তীব্র জোয়ারের কারণে লোকালয়ে হু হু করে পানি ঢুকছে। তিন থেকে চার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খাল-বিল থেকে শুরু করে মানুষের বসত বাড়িতে হাঁটু থেকে কোমর পানি থৈ থৈ করছে। ১৫ গ্রামে পানি ঢুকে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে কৃষি,মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে  নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটি বলা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। 

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, খোলপেটুয়া নদীর তীব্র জোয়ারের কারণে বাঁধটি এখনো মেরামত করা সম্ভব হয়নি। বাঁশ খুটি পুতে ও বালির বস্তা ফেলে রিংবাঁধ দেয়ার কাজ চলমান আছে। তীব্র জোয়ারের কারণে দূর্গাবাটি অংশে বাঁধটি ৮০ থেকে ১০০ ফুট গভীর হয়ে গেছে। সে কারণে রিংবাঁধ দেয়া হচ্ছে। আশাকরি দুই থেকে তিন দিনের ভিতরে ভেঙে যাওয়া বাঁধটি সংস্কার করা সম্ভব হবে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)