কেশবপুর প্রতিনিধি : কেশবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামকে (৫৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার বেলা ৩টার দিকে পৌরসভার সভার ভোগতী নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোড়ল পাড়া (ভবানীপুর) এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গতবছর ৫ আগস্টে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম তার বাড়ি ভোগতী নরেন্দ্রপুর মোড়ল পাড়া এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। বুধবার দুপুরের দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কারীদের কিছু যুবকেরা তার বাড়ি ঘিরে রাখে। এর ফাঁকে তিনি গ্রামের একটি পচাঁ কচুরিপানা ডেবার আশ্রায় নিয়েছিলেন। সেখান থেকে পরে আন্দোলন কারীদের আক্রমণের বিষয়টি বুঝতে পেরে সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম ওই এলাকার আরিফুর রহমান মিলনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। এসময়ে রফিকুল ইসলামের প্রতিবেশী মহিলারা তার বাড়িতে অবরোধকারীদের উপরে হামলা করে। ঘটনাটি পুলিশ জানতে পেরে ওই বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
রফিকুল ইসলাম মোড়ল ছিলেন উপজেলা যুবলীগের ও ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক, তিনি ২০১১ সালে পৌর সভার নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে পরাজিত হন। পরে ২০১৫ ও ২০২১ সালে পৌর নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীকে নিয়ে নির্বাচন করে মেয়র নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে কেশবপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ লাভ করেন। এরপর তার আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অতি অল্প দিনে অঢেল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পরে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গত সপ্তাহে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। এই সংবাদ পেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কারীদের একটি দল গতকাল তার বাড়িতে অবরোধ করে রাখে। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার পূর্বক থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন দৈনিক স্পন্দনকে বলেন, জনগণ তাঁকে (রফিকুল) বাড়িতে ঘিরে রাখে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।