Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

খোলপেটুয়ার ভাঙনে আরো ৫ গ্রাম প্লাবিত

এখন সময়: শনিবার, ১২ জুলাই , ২০২৫, ০৭:২৩:০৫ এম

জি এম মোহাম্মদ আলী, শ্যামনগর : খোলপেটুয়া নদীর তীরবর্তী বাঁধের ভাঙনের তৃতীয় দিনে উপজেলার আরও ৫টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার আরও অর্ধশত মিষ্টি পানির পুকুরসহ নতুনভাবে প্রায় দুই হাজার একর ফসলী জমিসহ চিংড়ি ঘের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। কাঁচা পাকা সড়ক ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি সম্পূর্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় গোটা এলাকা জুড়ে খাবার পানির সংকট তৈরি হয়েছে। এদিকে জোয়ার-ভাটার সাথে সাথে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ওঠানামা অব্যাহত থাকায় ভাঙন কবলিত অংশে গভীর খাদের সৃষ্টিসহ ভাঙনের বিস্তৃতি প্রায় সাড়ে পাঁচশ ফুটে পৌঁছেছে।

সরেজমিনে ভাঙন কবলিত অংশসহ প্লাবিত এলাকা পরির্দশনে দেখা যায় পোড়াকাটলা, পশ্চিম এবং পুর্ব দুর্গাবাটি, ভামিয়া, দাতিনাখালী ও মাদিয়া এলাকার যাবতীয় চিংড়িঘের ও স্থানীয়দের বসতবাড়ি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে। শনিবার দুপুরের পূর্ব মুহূর্তে শুরু হওয়া জোয়ারের পানি প্রবল বেগে একই অংশ দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশের পর বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের সামনের কেয়ারের রাস্তার অন্তত এক ফুট উপর দিয়ে পাশর্^বর্তী গ্রামগুলোতে প্রবেশ করছে। এ সময় আড়পাঙ্গাশিয়া ও পূর্ব দুর্গাবাটি সোনামুখী খাল দিয়ে জোয়ারের পানি কিছুটা মালঞ্চ নদীতে চলে গেলেও অতিরিক্ত পানির চাপে আড়পাঙ্গাশিয়া, মাদিয়ার অবশিষ্ট অংশসহ আরও তিনটি গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় শনিবার পর্যন্ত ১৩ গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় অন্তত ৫ হাজার ছোট বড় চিংড়ি ঘেরে ভেসে গেছে। এছাড়া দুই শতাধিক কাঁকড়ার ছোট বড় প্রজেক্ট পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার পাশাপাশি ২০/২২টি কাঁচা ঘর ধসে পড়েছে। এসব এলাকার শতাধিক কাঁচা পাকা সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি অন্তত ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানায় বুড়িগোয়ালীনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম।

টুঙ্গিপাড়া গ্রামের প্রভাষক পরীক্ষিত মন্ডল ও দুর্গাবাটির নীলকান্ত রপ্তান জানায়, শুক্রবার তাদের চিড়ি ঘের ডুবে যাওয়ার পর মনিবারের জোয়ারে বসত ঘরে পানি ঢুকেছে। পরিবারের শিশু ও নারী সদস্যদের অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে পুরুষ সদস্যরা বাড়ি পাহারা দিচ্ছে। সমুদয় এলাকা ডুবে যাওয়ার কারণে তারা খাদ্য ও খাবার উপযোগী পানির সংকটে পড়েছে বলেও তারা দাবি করেন। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শ্যামনগর পওর (পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিভাগের সেকশন অফিসার মাসুদ রানা জানান নদীতে জোয়ারের চাপ বেশি বিধায় প্রস্ততি থাকা সত্ত্বেও রিংবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। নদীতে পানির চাপ কমলে ভাঙন কবলিত অংশে রিংবাঁধ নির্মাণের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে।

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)