Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

প্রধানমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন : প্রতিমন্ত্রী স্বপন

এখন সময়: শুক্রবার, ৪ জুলাই , ২০২৫, ০৯:৩০:২৮ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর : পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এমপি বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে সম্মান দিয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী শাসক-শোষক গোষ্ঠীর হাত থেকে নির্যাতিত-নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। এদেশের ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বলেই মাত্র ৯ মাসে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল। ৪৭’ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ বিভাগের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তান শোষক গোষ্ঠী বাঙালি জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দিবে না।

শনিবার মণিরামপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীমু ক্তিযোদ্ধাদের হাতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান আরো বলেন, পাকিস্তান শোষক গোষ্ঠী প্রথমেই উর্দুতে রাষ্ট্রীয় ভাষা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বাঙালি জাতির মাতৃভাষার প্রতি আঘাত হেনেছিলেন। এরপর নানা আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার মধ্যে দিয়েই সেদিন স্বাধীনতার বীজ বোপিত হয়েছিল।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে বাঙালি জাতি সেদিন পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু পরাজিত শত্রুদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ৭৫’সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে বিশে^র মানচিত্র থেকে এদেশের নাম উঠিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বাঙালি জাতির ঐক্যবদ্ধতার কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। তারপরও বিভিন্ন সময় সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে বাঙালি জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে নানা ষড়যন্ত্রের ছক আকে। কিন্তু আবহমানকাল ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এদেশের মানুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারেনি। তিনি এ সময় ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহবান জানান।

এ সময় তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে সম্মান দিয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। এজন্য প্রতিটি নির্বাচনে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির পক্ষে কাজ করতে হবে।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রোকনজ্জামানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম। উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আলা উদ্দীন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান, ছাত্রলীগ নেতা হাদিউজ্জামান ফয়সাল, সাইদুর রহমান জনি।

উল্লেখ্য, উপজেলার ১৬৩ বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে স্মার্ট আইডি কার্ড ও ১২৭ বীরমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের হাতে ডিজিটাল সার্টিফিকেট তুলে দেয়া হয়। এতে করে বীরমুক্তিযোদ্ধারা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সহজ হবে।

 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)