সিরাজুল ইসলাম, কেশবপুর : কেশবপুরে পল্লীতে গত ইউপি নির্বাচনকালীন বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩ জন আহত হয়ে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। হামলা কারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
কেশবপুর থানায় অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে মির্জানগর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন মীরের পুত্র আব্দুর করিম মীরের (৫০) সাথে গত ইউপি নির্বাচনে সময়ে তারই প্রতিবেশি সাদেক আলী খানের পুত্র স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সুজনের নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ চলে আসছিলো। তারই জের ধরে ওই প্রার্থী ও তাঁর কর্মীরা তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি, হামলা, ভাঙচুর করে ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দিয়ে আসছিলো। তারা গত ২৪ জুলাই রাতের আঁধারে আব্দুল করিম মীরকে গোপালপুর বাজারের তেল পাম্পের পাশে একা পেয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সুজন, তার সমার্থক-কর্মী আমিনুর রহমান (৩৫), লিটন হোসেন (৩০), সাব্বির হোসেন (২৩), বাঁধন খান (২২), হাসান আলী (২৫), আরাফাত হোসেন (২২), সাদেক আলী খান (৬০) সহ ১০/১২ জন গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে লাঠিসোঁটা দিয়ে মারপিট করে ফোলা জখম করে। তার চিৎকার শুনে তার স্ত্রী মোমেনা বেগম (৪৬) ভাইপো সোহেল (২০) ঘটনাস্থলে আসলে তাদের কেও মারপিট করে ভাঙচুর, ফোলা জখম করে আহত করে। তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তারা চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে শুক্রবার কেশবপুর থানায় জাহাঙ্গীর আলম সুজন, তার সমার্থক-কর্মী আমিনুর রহমান (৩৫), লিটন হোসেন (৩০), সাব্বির হোসেন (২৩), বাঁধন খান (২২), হাসান আলী (২৫), আরাফাত হোসেন (২২), সাদেক আলী খান (৬০) কে অভিযুক্ত করে অভিযোগ করেছে মোঃ আব্দুল করিম মীর।