‘মরার ভয় নিয়ে পথ চলতে হয় পথচারীদের’

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল , ২০২৪, ০৬:২৯:৩৫ পিএম

খান কেএম শরাফত উদ্দীন, বাঘারপাড়া: সর্বদা মরার ভয় নিয়ে পথ চলে বাঘারপাড়া-নারিকেলবাড়িয়া সড়কের পথচারীরা।   বাঘারপাড়া চৌরাস্তা মোড়ের শতবর্ষী রেন্টিগাছটি বিলবোর্ডের নির্যাতনে সিংহভাগ মারা গেছে। এক সময়ে এই গাছটির কদর থাকলেও বর্তমানে গাছটি কালের সাক্ষি হতে যাচ্ছে। গাছটির চারপাশে রয়েছে একাধিক বিলবোর্ড, আর এই বিলবোর্ড গাছের সাথে  টানাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বড় লোহার পেরেক। আর এই সব লোহার পেরেক বছর যেতেনা যেতে জং ধরে অর্ধেক অংশ গাছের ভেতরে থেকে যায়, বাকি অংশ খসে পড়ে। যদি এই গাছটি কথা বলতে পারতো তবেই হইতো জ্ঞানহীন মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতো অথবা থানায় মামলা করতো নির্যাতনের মামলা।  গাছের দু”একটা চিকন ডাল পালা  এখনো জীবিত তা থেকে বেশ কিছু পাতা গজাতে দেখা যায়,বাকি সব গাছে বসবাস রত লতা পাতায় ভরে আছে। মাঝে মধ্যে দেখা যায় ওই গাছের শুকনা ডাল পালা খসে খসে পড়তে, বেশ কিছু দিন আগে বড় একটা বর্ষায় ওই গাছের শুকনা ডাল ভেঙে পড়ে চৌরাস্তার উপর, ভাগ্য তখন সেখানে কেউ ছিলো না থাকলে হয়তো ঘটে যেতে পারতো প্রাণনাশের মতো বড় দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি গাছটি কেটে ফেলা অন্যথায় যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে প্রাণনাশের মত বড় ধরনের দুর্ঘটনা।  এছাড়া একই ধরনের বড় একটা রেন্ট্রির ডাল কয়েক বছর ধরে শুকিয়ে পড়ে আছে বাঘারপাড়া-নারিকেলবাড়িয়া সড়কের বাঘারপাড়া পৌর সভার ৯নং ওয়ার্ডে মহিরন গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আব্দুল্যাহ মিয়ার বাড়ির সামনে। গত আমফান ঝড়ে বাঁজ পড়ে একটি বড় ডাল মরে যায়,  এখনো পর্যন্ত তা কাটার কোনো ব্যবস্থা নেইনি কতৃপক্ষ, যে কারনে মুরব্বিরা বলছেন মরায় না মারে কাউকে, মরার ভয় নিয়ে পথ চলে বাঘারপাড়া-নারিকেলবাড়িয়া সড়কের পথচারীরা , এই গাছ থেকে কয়েক বার শুকনা ডাল ভেঙ্গে পড়ে ৬/৭ জন পথচারী  গুরুতর আহত হয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ওসি, জেলা পরিষদের কয়েক জন সদস্যকে বলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয়দের দাবি। বিষয়টি নিয়ে কয়েক বার পত্রিকায় লেখা লেখি ও হয়েছে তাতেও কোনো কাজ হয়নি। স্থানীয় গ্রামবাসী বলছেন যার কাছে যায় সেই আইনের লম্বা হাত দেখান, কেউ কাজ করে দেয় না, আমরা গ্রামের মানুষ সব দপ্তর চিনি না আর গেলেও আমাদের কথায় কাজ হবে না। এবিষয়ে পৌর মেয়রকে কয়েক বার বলা হলেও কোনো প্রকার প্রতীকার আসেনি। সর্বশেষ নবাগত নির্বাহী অফিসার সৈয়দ জাকির হোসেনকে জানালে তিনি বলেন আমি সবে মাত্র যোগদান করেছি তারপরেও  বিষয়টি যশোরের ডিসি স্যারকে জানানো হয়েছে দেখা যাক কি হয়।