বেদে পরিবারে সদ্য ভূমিষ্ঠ তিন সন্তানের পাশে ইউএনও

এখন সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল , ২০২৪, ০৯:৪৯:১৮ এম

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: একই সাথে তিনটি সন্তান জন্ম দেয়া বেদে সম্প্রদায়ের হতদরিদ্র সিমা খাতুনের পাশে দাঁড়িয়েছেন কালীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন। তিনি শনিবার দুপুরে ক্লিনিকে গিয়ে অসচ্ছল বেদে সম্প্রদায়ের গৃহবধূ সিমার ভূমিষ্ট নবজাতকদের দুধ খাবার ও চিকিৎসার জন্য আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার গরীবশাহ ক্লিনিকে ওই গৃহবধূর দুইটি কন্যা ও একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। সীমা খাতুন বারোবাজার বাদেডিহি গ্রামের আরমান হোসেনের স্ত্রী। পেশায় তারা সাপুড়িয়া। বর্তমানে প্রসূতি মা ও তিন সন্তান সুস্থ আছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক সাথে তিন সন্তান জন্ম গ্রহণ ও তাদের পরিবারের অসহায়ত্বের খবরটি তার নজরে আসে। অর্থের অভাবে শিশু তিনটিকে ভাল চিকিৎসাও করাতে পারছেন না। তাই অবুঝ শিশুদের জন্য কিছু একটা করা উচিত এমনটা ভেবেই তিনি আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়াও ওই পরিবারটির কোন নিজস্ব জমি বা ঘর না থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে নির্মিত বারবাজার বেদে পল্লীতে তাদের জন্য ঘরও দেয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান তিনি।

স্বামী আরমান হোসেন জানান, গত শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে স্ত্রী সিমা খাতুনের প্রসব ব্যাথা উঠলে গরীবশাহ ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে ডাঃ সাথিয়া রোগীর আল্ট্রাসনো ও পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে দেখেন পেটে তিনটি বাচ্চা এবং পানি স্বল্পতাও রয়েছে। ডাক্তার তখন রোগিকে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারনে যশোর হাসপাতালে নিতে পারেননি। তাই ডাঃ সাথিয়া আফরিন বেলা ১২ টার দিকে ইমারর্জেন্সি সিজারিয়ান অপারেশন করে শিশু তিনটির জন্ম দেন।

ডাঃ সাথিয়া আফরিন জানান, অপারেশন পরবর্তি সময়ে বাচ্চাদের কোন সমস্যা না হয় এজন্য উন্নত চিকিৎসায় তাদেরকে যশোর সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু অর্থাভাবে তারা যেতে পারেননি। বর্তমানে তিন সন্তান ও তাদের মা সুস্থ আছেন।

শিশুদের বাবা আরমান হোসেন বলেন, আমরা বেদে সম্প্রদায়ের সাপুড়িয়া। সাপ বানর খেলা দেখিয়ে সামান্য আয়ে দু’জনের সংসার চলত। এখন একসাথে তিন বাচ্চার মূখ দেখে খুশি হলেও সন্তানদের দুধ ও খাদ্য কেনা নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় আছি।