ফুলতলা (খুলনা) প্রতিনিধি: সাবেক জাতীয় এ্যাথলেটার ও গাড়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এম এম কামরুজ্জামানের (৫২) মৃত্যুর ১৬ দিন পর ফুলতলা থানায় হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত কামরুজ্জামানের বড় ভাই আনারুল ইসলাম মোল্যা কালু বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এজহারে উল্লেখ করা হয়, ফুলতলা উপজেলার গাড়াখোলা গ্রামের শামছুর রহমান মোল্যার পুত্র সাবেক জাতীয় এ্যাথলেটিকস ও গাড়াখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এম এম কামরুজ্জামানকে গত ৩১ আগস্ট গভীর রাতে গাড়াখোলার পুড়াবটতলা এলাকা থেকে অস্ত্রের মুখে আসামিরা জিম্মি করে তার নব নির্মিত ভবনে নিয়ে আসে। সেখানে ওঁৎ পেতে থাকা অন্যান্য আসামিরা তাকে মুখ বেঁধে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথা, চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পরে তাকে টেনে হিচড়ে পাশর্^বর্তী আমির বিশ^াসের দোকানের দক্ষিণে রাস্তার ওপর ফেলে যায়। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনার একটি বেসরকারি হাসাপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে পরদিনই তাকে রাজধানীর বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি এবং অপারেশন করা হয়। ১০দিন পরে তাকে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে।
এ ব্যাপারে পাশর্^বর্তী উত্তরা পশ্চীম থানায় সাধারণ ডায়েরী এবং পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরি শেষে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরদিন রাতে গাড়াখোলায় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
এম এম কামরুজ্জামান মৃত্যুর ১৬ দিন পর গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে থানায় মামলা দায়ের হয়। মামলায় একজন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষক, ২ জন মাদ্রাসার শিক্ষকসহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই তিনজনকে আসামি করা হয়। এজাহারে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ ইলিয়াস তালুকদার বলেন, মঙ্গলবার রাতে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আসামিদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।