যশোরে সমাবেশ: ‘চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ’

এখন সময়: শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪, ০২:০১:৩৪ এম

নিজস্ব প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় যশোর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ‘চাই সাংস্কৃতিক জাগরণ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ শিরোনামে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট যশোরের সভাপতি সুকুমার দাস। শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জেএম ইকবাল হোসেন, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনোতোষ বসু, প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোরের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান বকুল, আইনজীবী আমিনুর রহমান হিরু, বাসুদেব বিশ্বাস, বিএমএ যশোরের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, শিল্পকলা একাডেমির সহসভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, যশোর উপশহর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, যশোর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন, প্রকৌশলী শহিদুল হক বাদল, নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার কনা ও বাউলিয়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ বাউল।

সমাবেশ শেষে পতাকা মিছিল করেন সাংস্কৃতিক নেতাকর্মীরা। শহিদমিনার চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়।

যশোরে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও ’৭২ এর সংবিধানের চার মূলনীতির পূর্ণ বাস্তবায়নে এবং সকল অপশক্তি প্রতিরোধের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সমাবেশে বক্তারা বলেন, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ নিছক একটি ভূখ- লাভ কিংবা পতাকা বদলের জন্য হয়নি। নয় মাসব্যাপী এই যুদ্ধ ছিল প্রকৃত অর্থেই মুক্তির যুদ্ধ। জনগণের সেই আশা আকাঙ্খা মূর্ত হয়েছিল ’৭২-এর সংবিধানে। সংবিধানে রাষ্ট্রের চার মূলনীতি ছিল জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এই সংবিধানে ধর্মের নামে রাজনৈতিক দল গঠন নিষিদ্ধ করা হয়। সেই সংবিধান কাটা ছেড়ার কারণে ধর্মব্যবসায়ীরা সংগঠিত হয়েছে রাজনীতিতে। তাদের মিথ্যা প্রচারণা নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করছে। তাই এসব অপশক্তি প্রতিরোধে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও ’৭২-এর সংবিধানের চার মূলনীতির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে।