যশোরে যৌথ চিত্র কর্মশালা সমাপ্ত

একমাত্র বঙ্গবন্ধুই দেশ স্বাধীন করতে সামর্থ্য হয়েছেন : প্রতিমন্ত্রী স্বপন

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৭:৩৯:৪৬ এম


নিজস্ব প্রতিবেদক : পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, ২৩ বছরের শোষণ বঞ্চনার মধ্যে থেকে বাঙালি জাতি কোনো ক্ষেত্রে প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারেনি। অনেক নেতা অনেক চেষ্টা করেছেন এই বাঙালির মুক্তির জন্যে। ঐতিহাসিকভাবেই আমরা জানি নেতাজি সুভাষ বোস, মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দি, একে ফজলুল হক তারা কেউ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি । একমাত্র ক্ষণজন্মা পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশ স্বাধীন করতে সামর্থ্য হয়েছেন। আর সেজন্যেই আজ বাঙালি চিত্রকর্মসহ সকল ক্ষেত্রে  ভূমিকা রাখতে পারছে। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি বাঙালির একটি ঐতিহাসিক মাস। ৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের সন্তানরা ভাষার জন্যে জীবন দিয়েছে। একটি স্বাধীন দেশে ৫৬ ভাগ বাঙালি থাকলেও বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি না দেয়ার চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু আমরা রক্তদিয়ে অর্জন করেছি স্বাধীনতা। তিনি বলেন ৫২ তে ভাষা আন্দোলন, ৬৬ স্বাধীকার, ৬৯ গণআন্দোলন, ৭০ এর নির্বাচন এবং ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমরা একটি পরিপুর্ণ স্বাধীন দেশ  অর্জন করতে পেরেছি।  মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে বাংলাদেশকে পাকিস্তান ধারায় নিয়ে যায়। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরিয়ে এনেছেন।
তিনি শুক্রবার যশোরে ভারত-বাংলাদেশের দুইদিনের  যৌথ চিত্র কর্মশালা ‘রিদম অব লাইফ’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।  সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে  এই অনুষ্ঠানে  বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।  শিল্পী আশরাফ হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন উদীচী যশোরের সভাপতি তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য,  জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহসভাপতি ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাহামুদ হাসান বুলু  ও শিল্পী  স্বপন সরকার। আলোচনাসভা শেষে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের হাতে  সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য।
প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ভারতীয় শিল্পীরা হলেন রেশমি মুখার্জি, তপন কুমার দাস, শাশ^তী বোস, রণিতা দেব, পার্থ সারথী দত্ত, অলোক কুমার সরকার, শ্যামল কুমার নাথ, দেবাশিষ মাইতি,  বিজয় দত্ত, নীলকান্ত মন্ডল, সর্বজিৎ রায়, মিনু দে, শেখ ইকবাল হোসেন ও স্বপন সরকার। এবং বাংলাদেশের শিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন লাফিজা নাজনীন, ওবাযয়েদ জাকীর, অহিদুজ্জামান চাকলাদার মুকুট, নিখিল দাস, চঞ্চল সরকার, কৃষি গৌতম, সজল ব্যানার্জি ও  রফিক উল্যাহ। বৃস্পতিবার ও শুক্রবার এই চিত্র কর্মশালা ‘রিদম অব লাইফ’ অনুষ্ঠিত হয়।