ভাষার টানে

এখন সময়: শুক্রবার, ২৯ মার্চ , ২০২৪, ০৩:৩১:৩৪ পিএম

সাজেদ রহমান  : কাঁধে ব্যাগ। অনেক দূর থেকে এসেছেন। নাম লিলি ভট্টাচার্য। নোম্যানসল্যান্ডে এসে এক টুকরা মাটি তুলে মাথায় দিলেন। আমি ছবি তোলার আগেই সেরে ফেললেন মাথায় মাটি ঠেকানোর কাজ। আমরা যশোরের সাংবাদিকরা বসেছিলাম নো-ম্যানস ল্যাণ্ডের উত্তর দিকে যাত্রী ছাউনীতে। তাঁর পূর্ব পুরুষের আবাসস্থল ছিল বরিশাল। দূর থেকে আমি দেখছি অনেক অনুনয়-বিনয় করছেন বিএসএফ’র সদস্যের কাছে নো ম্যানস লাল্ডে আসবেন বলে। পরে আসলেন। লিলি ভট্টাচার্যের সাথে ফেরার পথে কথা। বললেন, ভোর থেকে অপেক্ষা করছি। এসেছি ডানকুনি থেকে। নিরাপত্তারক্ষীদের অনেক অনুরোধ করার পর অবশেষে সীমান্ত পেরনোর অনুমতি পেলাম। ততক্ষণে জিরো পয়েন্টে শুরু হয়ে গেছে অনুষ্ঠান। অনুমতি মিলতেই একছুটে দৌড় লিলির। মুখে এক গাল হাসি। বললেন, ঢুকতে না পেরে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। নিরাপত্তা বড় বালাই। তাই মিলেও যেন মিলল না পুরোটা। দু’পাড়ের ভাষা একটাই। কিন্তু দেশ ভিন্ন। তাই সীমান্তের দু’পাড়ে আলাদা আলাদা মঞ্চ করা হয়েছিল। তাতে কী। ভাষার আবেগের কাছে ধোপে টেকে না নিরাপত্তার কড়াকড়ি। আর তাই সকাল দশটায় গেট খুলতেই এন্ট্রি পাস নিয়ে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েন দু’পাড়ের মানুষজন। লিলি’র জন্য বাংলাদেশের ভালোবাসা।--  ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া