বিকল্প কাউকে না দিয়ে লেখককে অন্য কাজে পাঠানো হয়েছে

যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদপত্র তোলা যাচ্ছে না, ভোগান্তি

এখন সময়: শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল , ২০২৪, ০৫:৩৪:৫৮ পিএম

মিরাজুল কবীর টিটো : দিনের পর দিন ঘুরেও সনদপত্র তোলা যাচ্ছে না। প্রমাণপত্র শাখায় লেখক না থাকায় সনদপত্র সরবরাহ করতে পারছে না যশোর শিক্ষা বোর্ড। ফলে বোর্ড পরীক্ষায় উর্ত্তীনের সনদপত্র তুলতে এসে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
বোর্ডের প্রমাণপত্র শাখায় কম্পিউটারে সনদ লেখার দায়িত্বে ছিলেন একরাম হোসেন। বিকল্প কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংক্রান্ত কাজে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ফলে জরুরি প্রয়োজনে ‘ফ্রেস’ ও দ্বিনকল সনদ তুলতে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, সনদ লেখকসহ ৪৫ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আগামী ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংক্রান্ত কাজে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জনবল সংকট থাকায় সনদ লেখকের শুন্য স্থানে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া যায়নি। এই মাসের শেষ দিকে সনদ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব জানান, জনবল সংকট দূর করার চেষ্টা চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা বোর্ডে এক যুগ ধরে জনবল সংকট। বর্তমানে ২৫৪ জনের বিপরীতে কর্মকর্তা-কর্মচারীর ১৩০ পদ শুন্য। অনেকেই দুই থেকে তিন বিভাগের দায়িত্ব পালন করছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ^াস শাহীন আহমেদকে সচিবের চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। উপকলেজ পরিদর্শক কলেজ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন। আর বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণপত্র শাখায় সব সময় একজন সনদ লেখক দায়িত্ব পালন করতেন। যাতে সনদপত্র নিতে এসে কেউ ফিরে না যায়। তবে বর্তমানে এই শাখায় কোন সনদ লেখক নেই। শাখাটির দায়িত্বপ্রাপ্তকে এসএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে ঢাকায় পাঠানো হলেও অন্য কাউকে দায়িত্ব না দেয়ায় এমন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০০০ সালের পরে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছে তাদের সনদ কম্পিটারে প্রিন্ট করেন সিস্টেম এনালিস্ট সালমা কোহিনুর। তাকে সনদ লেখকের চলতি দায়িত্ব দিলে বর্তমান সংকট দূর করা সম্ভব হতো। কিন্তু সেটি না করায় সনদ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. বিশ^াস শাহীন আহমেদ বলেন ২০০০ সালের আগে যারা পাস করেছে তাদের সনদপত্র হাতে লেখা হয়। কম্পিউটারে কম্পোজ করার বিষয়টি তিনি জানেন না।