Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)

যশোরে ব্যবসায়ীকে মারধর ও মালামাল তছনছ, পুলিশ সদস্য ক্লোজড

এখন সময়: রবিবার, ১৩ জুলাই , ২০২৫, ০৩:০৮:০৫ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ভ‚ষিমাল ব্যবসায়ীকে মারধর ও মালামাল তছনছ করেছেন সাদা পোশাকধারী এক পুলিশ সদস্য। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় ওই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শী পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার বাসিন্দা ফেরদাউস হোসেন সোম রাজ জানান, সকাল পৌনে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড বাজারে ভূষিমালের দোকান জমির স্টোরের সামনে একটি ইজিবাইক দাঁড়িয়েছিলো। এ সময় দোকান মালিক জমির শেখ ইজিবাইক চালক মোস্তফা কামালকে দোকানের সামনে থেকে ইজিবাইক সরিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু গড়িমসি করায় চালককে বকাঝকা করেন জমির শেখ। তখন চালক মোস্তফা কামাল ইজিবাইক সরিয়ে নিয়ে গেলেও ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবসায়ী জমির শেখকে গালি দেন। গালি দেয়ায় ব্যবসায়ী জমির শেখ দোকান থেকে বেরিয়ে এসে ইজিবাইক মোস্তফা কামালকে চড় মারেন। এ সময় দুই জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরমধ্যে চালক মোস্তফা কামাল মোবাইল ফোন থেকে কল করলে একটি ইজিবাইকে করে ৪ ব্যক্তি সেখানে আসেন। তাদের মধ্যে একজন নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেন এবং কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি দোকানে থাকা প্লাস্টিকের বেলচা দিয়ে ব্যবসায়ী জমির শেখের মুখসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন।  মারধরে তার মুখ রক্তাক্ত জখম হয়। এছাড়া সাদা পোশাকে থাকা ওই পুলিশ সদস্য ও তার সঙ্গীরা দোকানের সামনের বস্তায় রাখা মালামাল ফেলে দেন। এরপর দুইটি গাড়িতে করে পুলিশ সদস্যরা সেখানে আসেন। তাদের মধ্যে ছিলেন কোতয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন খান। পুলিশের এই কর্মকর্তা উভয় পক্ষকে ডেকে সব ঘটনা শোনেন। এ সময় অনুতপ্ত হয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ওই ব্যবসায়ীর কাছে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

ভূষিমাল ব্যবসায়ী জমির শেখ অভিযোগ করেন, দোকানের সামনে থেকে ইজিবাইক সরিয়ে নিয়ে যেতে বলার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালি দিয়েছেন চালক মোস্তফা কামাল। এরপর চালক মোস্তফা কামাল মোবাইল ফোন থেকে কল করলে তার ভাই কনস্টেবল আবু বক্কার শুভসহ সাদা পোশাকে ৪ ব্যক্তি ইজিবাইকে করে এসে জমির শেখকে মারধর করেন। তার দোকানের মালামাল ফেলে তছনছ করে দেয়া হয়। 

অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল আবু বক্কার শুভ বর্তমানে পুলিশ লাইন্সে কর্মরত। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি।  তবে তার ভাই মোস্তফা কামাল অভিযোগ করেন, দোকানদার তাকে মারধর করেছেন। 

কোতয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সালাউদ্দিন খান জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বেলাল হোসাইন দুই পক্ষকে খবর দিয়েছিলেন। সবকিছু শোনার পর তিনি কনস্টেবল আবু বক্কারকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করার আদেশ দিয়েছেন। 

Ad for sale 100 x 870 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
Ad for sale 225 x 270 Position (4)
Position (4)